a
ছবি: দৈনিক সিলেট

 

সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে আগামী রোববার থেকে ফের ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি।

বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) বিকেলে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

রিজভী বলেন, আগামী ১২ নভেম্বর সকাল ৬টা থেকে ১৪ নভেম্বর সকাল ৬টা পর্যন্ত সর্বাত্মক অবরোধ কর্মসূচি পালিত হবে। অবরোধের আওতামুক্ত থাকবে অ্যাম্বুলেন্স, অক্সিজেন সিলিন্ডার বহনকারী গাড়ি ও গণমাধ্যমের গাড়ি।

এসময় রিজভী দাবি করেন, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে বিএনপির ৩৬৫ জন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আহত হয়েছে ৫০ জন। আর গত ২৮ অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার হয়েছে নয় হাজার ৮৩১ জন। এক সাংবাদিকসহ নিহত হয়েছেন মোট ১২ জন নেতাকর্মী।

এর আগে, সরকারের পদত্যাগ, নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার ও খালেদা জিয়াসহ কারাবন্দিদের মুক্তির দাবিতে বুধবার (৮ নভেম্বর) সকাল ৬টা থেকে শুক্রবার (১০ নভেম্বর) সকাল ৬টা পর্যন্ত অবরোধের ঘোষণা দেয় বিএনপিসহ সমমনা বিরোধী দলগুলো। তাদের ডাকা তৃতীয় দফার ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ শেষ হচ্ছে আগামীকাল (শুক্রবার) সকাল ৬টায়।

এদিকে, গত ১৩ দিনের মতো আজ বৃহস্পতিবারও বিএনপির নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয় তালাবদ্ধ রয়েছে। কার্যালয়ের গেটে পড়ে আছে নির্বাচন কমিশনের সংলাপের আহ্বান জানিয়ে দেওয়া চিঠিসহ বিভিন্ন চিঠি। আর প্রতিদিনের মতো আজও দলটির কার্যালয়ে দুই পাশে অবস্থান নিয়ে আছে পুলিশ।

জামায়াতে ইসলামী:

আগামী রোববার (১২ নভেম্বর) ও সোমবার (১৩ নভেম্বর) আবারো টানা ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। সরকারের পদত্যাগ, নির্বাচনকালীন কেয়ারটেকার সরকার গঠন, আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমানসহ সকল রাজবন্দি এবং ওলামা-মাশায়েখের মুক্তি, মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও দ্রব্যমূল্য মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে নিয়ে আসার দাবিতে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে দলটি।

এছাড়া, গত কয়েকদিনে কর্মসূচি পালনকালে নিহতদের আত্মার মাগফিরাত ও আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করে দলটির পক্ষ থেকে শুক্রবার (১০ নভেম্বর) দেশব্যাপী দোJamat  xয়া অনুষ্ঠানের আহ্বান জানানো হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিবৃতিতে নতুন এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মা’ছুম।

বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘অবৈধভাবে ক্ষমতা কুক্ষিগত করে জালিম সরকার গত ১৫ বছর যাবৎ নাগরিকদের ওপর জবরদস্তিমূলক কুশাসন চালাচ্ছে। সরকারের অবিচার-অনাচারে দেশ ছেয়ে গেছে। তারা দেশের গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক সব প্রতিষ্ঠান সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করে দিয়েছে। দেশে স্বৈরতন্ত্র ও জুলুমতন্ত্র চালু করা হয়েছে। নাগরিকদের ভোটাধিকার ও মিটিং-মিছিলসহ সব সাংবিধানিক মৌলিক অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’

‘এমতাবস্থায় ফ্যাসিস্ট সরকার বুঝতে পেরেছে যে, তারা জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে এবং জনগণের আস্থা হারিয়েছে। সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে ক্ষমতায় আসা তাদের পক্ষে সম্ভব নয়। ক্ষমতা হারানোর এই আশঙ্কা থেকেই আওয়ামী সরকার ক্ষমতার অপব্যবহার করে কেয়ারটেকার সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে দিয়েছে এবং গণতন্ত্র বিকাশের পথ রুদ্ধ করে দিয়েছে।’

‘গণতন্ত্রকামী দেশপ্রেমিক জনতা জেগে উঠেছে। তারা স্বতঃস্ফূর্তভাবে বিরোধীদলের কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করছে। আপনাদের অপশাসনের বিরুদ্ধে তারা ধারাবাহিকভাবে ক্ষোভ প্রকাশ করছে এবং বিক্ষোভ প্রদর্শন করছে। আপনারা শুভ বুদ্ধির পরিচয় দিন। জনগণের ন্যায্য দাবি মেনে নিন। পদত্যাগ করুন এবং কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে নির্বাচন দিন। দেশকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করুন। নচেৎ উদ্ভূত যেকোনো পরিস্থিতির জন্য আপনারাই দায়ী থাকবেন।’

মাওলানা এটিএম মা’ছুম বলেন, ‘জনগণ যাতে প্রয়োজনীয় কাজ সারতে পারে সেজন্য দুই দিনের বিরতি দিয়ে দেশ ও জাতির বৃহত্তর স্বার্থে জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে আগামী রোববার ভোর ৬টা থেকে শুরু হয়ে মঙ্গলবার ভোর ৬টা পর্যন্ত টানা ৪৮ ঘণ্টা সড়ক, রেল ও নৌপথ অবরোধের কর্মসূচি ঘোষণা করছি। গত কয়েক দিনে কর্মসূচি পালনকালে নিহতদের আত্মার মাগফিরাত ও আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করে আগামী শুক্রবার দেশব্যাপী দোয়া অনুষ্ঠানের আহ্বান জানাচ্ছি।’

ঘোষিত কর্মসূচিতে সুশৃঙ্খল ও শান্তিপূর্ণভাবে অংশগ্রহণ করে সাফল্যমণ্ডিত করতে জামায়াতে ইসলামীর সর্বস্তরের নেতাকর্মী ও দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

ডিএস/এমসি

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।