কোটা: রাজস্থানের কোটায় একের পর এক ছাত্রের রহস্যমৃত্যু। গত ১১ দিনে তিনজনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। এ বছরে এখনও পর্যন্ত মারা গিয়েছেন ১৯ জন পড়ুয়া। প্রত্যেকেই জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষার জন্য প্রস্ততি নিচ্ছিলেন।
শেষতম এই মৃত্যুতে যদিও কোনও সুইসাইড নোট উদ্ধার হয়নি, কিন্তু প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষার প্রস্তুতির চাপ সহ্য করতে না পেরেই বৃহস্পতিবার আত্মঘাতী হয়েছেন ওই ছাত্র। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতের নাম মণীশ প্রজাপত (১৭)। তিনি উত্তরপ্রদেশের আজমগড়ের বাসিন্দা। গত ছয় মাস ধরে কোটার একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।
আরও পড়ুন: ‘ফার্স্ট বয়ের’ এমন কীর্তিতে অঙ্ক মিলছে না, স্বপ্নদীপের মৃত্যুতে ধৃত সৌরভের শিক্ষক স্তম্ভিত!
জানা গিয়েছে, ওই ছাত্রের সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন তাঁর বাবা। তিনি বাড়ি ফেরার পথেই ছেলের মৃত্যুর খবর শুনতে পান। প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, পরীক্ষার চাপ সহ্য করতে না পেরে আত্মঘাতী হয়েছেন ছাত্র। কোটার মহাবীর নগরে হস্টেলে মণীশের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। উত্তরপ্রদেশের আজমগঢ়ের বাসিন্দা। মণীশ জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। গত বছর কোটায় একটি কোচিং ইনস্টিটিউটে ভর্তি হয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: টাকার বিনিময়ে হস্টেলে জায়গা দিত ধৃত প্রাক্তনী সৌরভ, জুনিয়ারদের ‘বাবা’ বলে ডাকার নির্দেশ ছিল!
জানা গিয়েছে, ওই ছাত্রের বাবা তাঁর সঙ্গে সেখানে পাঁচ দিন ছিলেন। এরপর বৃহস্পতিবার তিনি সেখান থেকে চলে যান। বাড়ি ফেরার পথেই তিনি ছেলের মৃত্যুর খবর জানতে পারেন। কোটা যেন দিনেদিনে মা-বাবা, পড়ুয়াদের কাছে বিভীষিকা হয়ে উঠছে। ব্যর্থতা, আত্মহত্যার আঁতুড়ঘর হয়ে হয়ে উঠছে কোটা। গোটা দেশে শোরগোল ফেলে দিয়েছে কোটায় একের পর এক ছাত্রমৃত্যুর ঘটনা।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Joint Entrance Exam, Rajasthan, Student death