SYLHET KOLLAN SONGTA PHOTO
ছবি: দৈনিক সিলেট

বৃহত্তর সিলেটের অরাজনৈতিক কল্যাণমূলক স্বেচ্ছাসেবী সামাজিক সংগঠন সিলেট কল্যাণ সংস্থা (সিকস), সিলেট বিভাগের যুব সংগঠক,আত্মকর্মী ও বাংলাদেশ প্রেমী সৃষ্টিশীল যুবদের সমন্বয়ে এ প্রজন্মের মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে গঠিত অরাজনৈতিক স্বেচ্ছাসেবী সামাজিক যুব সংগঠন সিকস’র অঙ্গ সংগঠন সিলেট বিভাগ যুব কল্যাণ সংস্থা (সিবিযুকস) এবং বাংলাদেশী প্রবাসীদের সবধরনের দাবি উপস্থাপনের বলিষ্ঠ সংগঠন সিলেট প্রবাসী কল্যাণ সংস্থা (সিপ্রকস) এর যৌথ আয়োজনে বুধবার (০১ নভেম্বর) জাতীয় যুব দিবস ২০২৩ উপলক্ষ্যে আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, উন্নয়নের সর্বক্ষেত্রে যাদেরকে ব্যবহার করা যায়, তারাই হচ্ছে যুব সমাজ। যুবরা দেশ ও জাতির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। তাদেরকে যে কাজে ব্যবহার করা হবে, তারা সে কাজ নিঃস্বার্থভাবে করতে পারবে। বাংলাদেশের প্রায় ১৮ কোটি জনসংখ্যার এক-তৃতীয়াংশ যুব সমাজ। তাদেরকে সরকারী ও বেসরকারী ব্যবস্থাপনায় বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করে যথাযথ সহযোগিতার মাধ্যমে একজন আত্মনির্ভরশীল ব্যক্তি হিসেবে গড়ে তুলা প্রয়োজন। অবস্থার মানদন্ডে তিন বিত্তের মধ্যে উচ্চবিত্তের অধিকাংশই অল্প বয়সেই প্রবাসে লেখাপড়াসহ কর্মসংস্থান তৈরী করে নেন। তাই তাদেরকে শুরু থেকেই কোনো অবস্থানে পাওয়া যায়না। অন্য দুই বিত্তের অধিকাংশই কর্মহীন অবস্থায় থাকার কারণে এদেরকে কতিপয় নেতৃত্বশীল ব্যক্তিরা বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ডে সম্পৃক্ত করে ফেলে। আজ যদি যুবদেরকে নিজস্ব ও সার্বিক অবস্থানের উন্নয়নে সঠিকভাবে ব্যবহার করা হতো, তাহলে যুবদেরকে কোনো অপকর্মে ব্যবহার করা সম্ভব হতো না। বক্তারা আরো বলেন, যুবদেরকে সরকারী ও বেসরকারী ব্যবস্থাপনায় দেশের উন্নয়নে ব্যবহার না করায় প্রায়ই যুবরা এখন বিদেশমুখী। জাতীয় যুব দিবস ২০২৩ এ আমরা সরকারের কাছে যুবদেরকে যথোপযুক্ত প্রশিক্ষনের মাধ্যমে আত্মকর্মী হিসেবে গড়ে তুলার জন্য জোর দাবি জানাচ্ছি।

আজ ১ নভেম্বর “স্মার্ট যুব সমৃদ্ধ দেশ, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে জাতীয় যুব দিবস ২০২৩ উপলক্ষ্যে সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে সকাল ১০.৩০ ঘটিকায় যুব জমায়েত ও আলোচনা সভা, ১১.০০ ঘটিকায় সিলেট বিভাগ যুব কল্যাণ সংস্থার ১০ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে কেক কাটা অনুষ্ঠান ও ১১.৩০ ঘটিকায় বর্ণাঢ্য যুব শোভাযাত্রা সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার হতে জিন্দাবাজার, বন্দরবাজার কোর্ট পয়েন্ট হয়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় পর্যন্ত, ১২.০০ ঘটিকায় বাংলাদেশের যুব সমাজের পক্ষ থেকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বরাবরে (মাধ্যমঃ জেলা প্রশাসক, সিলেট) স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে জাতীয় যুব দিবস ২০১০-এ জাতীয় যুব পুরস্কার শ্রেষ্ঠ যুব সংগঠক পদকপ্রাপ্ত, দক্ষ, কর্মমূখী, গতিশীল যুব সমাজের স্বপ্নদ্রষ্টা ও ব্যতিক্রমধর্মী কর্মসূচীর উদ্ভাবক সিলেট বিভাগের সামাজিক যুব কার্যক্রমের কর্ণধার সংগঠন গুলোর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মোহাম্মদ এহছানুল হক তাহেরের সভাপতিত্বে এবং সিবিযুকস’র প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হুমায়ুন রশিদ চৌধুরীর পরিচালনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন আলহাজ্জ মুখতার আহমেদ তালুকদার, মোঃ নাজমুল হুসাইন, দিপক কুমার মোদক বিলু, এবাদ উল্লাহ, মোঃ আফজাল হোসাইন, শাহিন আহমেদ, মোঃ ফোজায়েল আহমদ, মাহফুজ আল গালিব, গোলাম কিবরিয়া হিমু, সৈয়দ রাসেল, মিল্লাত আহমদ, আরিফুর রহমান মিসবাহ, মখছুছর রহমান, মুস্তফা সাজিদুল ইসলাম, নাইম আহমেদ রায়হান খাঁন, রাফি খন্দকার, মোঃ জুলকাফল হৃদয়, মজিবুর রহমান, সৈয়দ ইব্রাহীম, সবুজ আহমদ ও মুকিদ মিয়া। বর্ণাঢ্য যুব শোভাযাত্রায় ধারাভাষ্য বিবরণ করেন আলহাজ্জ মুখতার আহমেদ তালুকদার ও সৈয়দ রাসেল। শোভাযাত্রা শেষে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।

স্মারকলিপির বিষয়বস্তুঃ বাংলাদেশের বিভিন্ন জনপ্রতিনিধি স্বাধীনতা যুদ্ধের বিজয় পরবর্তী সময় থেকে অদ্যবধি সংসদ সদস্য থেকে শুরু করে ইউপি সদস্য পর্যন্ত একেধারে দুইয়ের অধিক নির্বাচনে অংশগ্রহন করে একাধিকবার জনপ্রতিনিধি হয়েছেন। যার কারণে অত্র অঞ্চলের অন্য কোনো ব্যক্তিত্বশীল ব্যক্তি ও যুব নেতৃত্বশীল ব্যক্তিও নির্বাচনে অংশগ্রহন করার সুযোগ পাচ্ছেন না। একজন ব্যক্তি যেকোন পদে দুইয়ের অধিকবার নির্বাচনে অংশগ্রহন করার সুযোগ পেয়ে জনপ্রতিনিধি হলে ভবিষ্যতে কোনো ব্যক্তিত্বশীল জনসাধারণই নির্বাচনে অংশগ্রহন করা থেকে বঞ্চিত হবেন। কারণ সংসদ সদস্য থেকে শুরু করে ইউপি সদস্য পর্যন্ত কোনো ব্যক্তি জনপ্রতিনিধি হিসেবে কয়েকবার নির্বাচিত হওয়ার পর প্রকৃতিগতভাবে বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রভাব বিস্তার করা শুরু করেন। এতে জনপ্রতিনিধির নিকট থেকে সাধারণ জনগণ সেবার চেয়ে প্রভাবের শিকার হোন বেশি। তাই জনপ্রতিনিধি হওয়ার ক্ষেত্রে দুইয়ের অধিক নির্বাচিত প্রার্থীকে নির্বাচনে অংশগ্রহনের সুযোগ না দেওয়ার জন্য জোর দাবি ও এই দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের ব্যবস্থাপনা থেকে আইন প্রণয়নেরও দাবি জানাচ্ছি।

মহোদয়, বর্তমানে দেশের প্রায় ১৮ কোটি জনসংখ্যার মধ্যে এক-তৃতীয়াংশ যুবদের অবস্থান কাগজে-কলমে পরিলক্ষিত। বাংলাদেশের যুব সমাজকে উন্নয়নমূলক কাজ ও নেতৃত্বশীল অবস্থানে ব্যবহার করা বর্তমানে সময়ের প্রধান দাবি। এই দাবিকে সামনে রেখে যুব সমাজের নেতৃত্ব বিকাশ ও স্বাধীনতা পরবর্তী যুব প্রজন্মকে নির্বাচনে অংশগ্রহন করে জনপ্রতিনিধি হওয়ার সুযোগ করে দিতে আপনার সুপরিকল্পিত অবস্থান আমরা ৬ কোটি যুব সমাজ আশা করছি। উপরোক্ত বিষয়টির বিবেচনায় নিয়ে আপনার মাধ্যমে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের দায়িত্বশীলদের নিয়ে যুব সমাজের নেতৃত্ব বিকাশ ও স্বাধীনতা পরবর্তী যুব প্রজন্মকে নির্বাচনে অংশগ্রহন করে জনপ্রতিনিধি হওয়ার সুযোগ প্রদানে এবং দুইয়ের অধিক নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিকে তৃতীয়বার নির্বাচনে অংশগ্রহন থেকে বিরত রাখতে আপনার সুদৃষ্টি কামনা করছি

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

ডিএস/এসএ

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।