mAMATA ADHIR
ছবি: নিউজ ১৮

নয়াদিল্লি: কাছাকাছি আসার ইঙ্গিত মিল ছিল অনেকদিন ধরেই। ২০২৪ যত এগিয়ে আসছে রাজনীতির হিসেব-নিকেশ তত স্পষ্ট হচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গে বিবাদমান কংগ্রেস এবং তৃণমূল কংগ্রেস, সেই সঙ্গে বাম দলগুলি জাতীয় স্তরে এক ছাতার তলায় এসেছে।

এতদিন বাংলার সিপিএম এবং কংগ্রেস নেতারা বলা হচ্ছিল, জাতীয় রাজনীতির স্বার্থে কংগ্রেস তৃণমূল ও বামেরা এক ছাতার তলায় এলেও রাজ্য রাজনীতিতে তার প্রভাব পড়বে না। কিন্তু, আজ শনিবার ২৪ আকবর রোডে বঙ্গ রাজনীতির জন্য যে ইঙ্গিত মিলল, তা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। এবার পঞ্চায়েত নির্বাচনে হিংসা এবং শাসক দলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলে এতদিন ধরে সরব ছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী। আর আজ দিল্লিতে পঞ্চায়েত নির্বাচনে বাংলায় হিংসা প্রসঙ্গ এড়িয়ে গেলেন তিনি।

দিল্লিতে কংগ্রেস সদর দফতরে সাংবাদিক সম্মেলনে তাঁকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, পঞ্চায়েত নির্বাচনে বাংলার সন্ত্রাস নিয়ে  প্রধানমন্ত্রী অভিযোগ করেছেন। তৃণমূলের বিরুদ্ধে রক্তের হোলি খেলার অভিযোগ তুলেছেন প্রধানমন্ত্রী৷ জবাবে অধীর বলেন, ” প্রধানমন্ত্রী মধ্যপ্রদেশ দেখেন না, উত্তর প্রদেশ দেখেন না।  মণিপুরের সঙ্গে বাংলার তুলনা করা উচিত নয়।”

তবে দিল্লিতে বসে এ কথা বললেও রাজ্যে অবশ্য ধুপগুড়ি উপনির্বাচনে তৃণমূলের বিরুদ্ধেই একজোট হয়ে লড়ছে বাম-কংগ্রেস৷ সেখানে সিপিএম প্রার্থীকে সমর্থন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কংগ্রেস৷ তবে অধীরের এ দিনের মন্তব্যের পর ভবিষ্যতে তৃণমূল নিয়ে বাংলায় অধীরের অবস্থান কী হয়. তা নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছে৷

এ দিন সদ্য সমাপ্ত সংসদের বাদল অধিবেশন নিয়ে তোপ দাগলেন কংগ্রেসের লোকসভার নেতা অধীর চৌধুরী। তাঁর অভিযোগ, সংসদীয় প্রথা লঙ্ঘন করে এক তরফা বিল পাস করিয়েছে মোদি সরকার। সংসদে কোনও বিল নিয়ে আলোচনায় অংশ নেননি বিরোধী নেতারা। বিলের পক্ষে বিপক্ষে মত আদান প্রদানের পর সেই বিল নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়। সেই রীতিকে জলাঞ্জলি দিয়ে মোদি সরকার পরের পর বিল সংসদে পাস করিয়ে নিয়েছে বলে অভিযোগ করেন অধীর৷

প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের সময় বিক্ষোভ করায় কংগ্রেসের লোকসভার নেতাকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। তাঁকে ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানিয়েছে ট্রেজারি বেঞ্চ। কেন্দ্রীয় সরকারের সমালোচনা করে অধীর চৌধুরী বলেন, ‘ক্ষমা চাওয়ার প্রশ্ন নেই। অন্যায় করিনি।’ তাঁর কথায়, ‘সংসদের কারও ভালবাসা চাইনা। সবচেয়ে বড় বিরোধী দলের নেতা হিসেবে যোগ্য অধিকার ও সম্মান চাই। সংঘ ও বিজেপির সমালোচনা করে অধীরের বক্তব্য, যে তেরঙ্গা পতাকা উত্তোলনের জন্য এক সময় কংগ্রেস কর্মীদের খুন করেছে আরএসএস, সেই তেরঙ্গার প্রতি এখন ভালবাসা উতলে উঠছে।’ সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন অধীর রঞ্জন চৌধুরী।

অধীরের সাসপেন্ডের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে আগেই তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। দলের লোকসভার মুখ্য সচেতক কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “অধীর চৌধুরীর বিরুদ্ধে আমাদের রাজনৈতিক ভাবে কিছু জায়গায় বিরোধ থাকতে পারে তবে তিনি লোকসভায় বিরোধী দলের নেতা। তিনি আজ দেশের সংসদে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে কথা বলেছেন সেই জন্য তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। অবশ্য সাসপেন্ড করার পিছনে অন্য কারণ দেখানো হয়েছে।”

Published by:Debamoy Ghosh

First published:

Tags: Adhir Ranjan Chowdhury

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।