ছবি: নয়া দিগন্ত


সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে আদর্শকে বিজয়ী করতে হবে বলে মন্তব্য করে বাংলাদেশ শ্রমিককল্যাণ ফেডারেশনের উপদেষ্টা মাওলানা এ টি এম মা’ছুম বলেছেন, বাংলাদেশকে গতিশীল ও সমৃদ্ধ রাষ্ট্রে পরিণত করার জন্য আদর্শিক আন্দোলনের অগ্রযাত্রাকে এগিয়ে নিতে হবে। যারা যে অঙ্গনে কাজ করে তাদের সে অঙ্গনকে আরো মজবুত করতে হবে।

শনিবার (১২ আগস্ট) বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের উদ্যোগে ভার্চুয়ালি আয়োজিত কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদের দ্বিতীয় অধিবেশন ও জেলা বা মহানগরী সভাপতি সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ফেডারেশনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অধ্যাপক হারুনুর রশিদ খানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আতিকুর রহমানের সঞ্চালনায় এতে আরো উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি গোলাম রব্বানী, লস্কর মো: তসলিম, মাস্টার শফিকুল আলম, কবির আহমাদ, মুজিবুর রহমান ভূঁইয়া, মনসুর রহমান, সহ-সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আলমগীর হোসাইন প্রমুখ।

এ টি এম মা’ছুম বলেন, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন একটি সত্যনিষ্ঠ আদর্শের পতাকাবাহী সংগঠন। এই সংগঠনের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীরা যে আদর্শকে বিশ্বাস করে, সেই আদর্শ সমাজ রাষ্ট্রে বাস্তবায়ন করার জন্য দিনরাত অবিশ্রান্তভাবে কাজ করে যাচ্ছে। তারা জানে শ্রমজীবী মানুষের কাঙ্ক্ষিত মুক্তি এই আদর্শ দ্বারা অর্জিত হবে। ট্রেড ইউনিয়ন আন্দোলনের এই সংগঠন শ্রমজীবী মানুষদের আদর্শিক পথে পরিচালিত করার জন্য একটি কার্যকর পরিকল্পনার আলোকে কাজ করে যাচ্ছে। এই পরিকল্পনাকে দায়িত্বশীলদের গুরুত্বের সাথে উপলব্ধি করতে হবে।

তিনি বলেন, শ্রমজীবী মানুষদের আদর্শিক পথে আকৃষ্ট করার জন্য সকল পর্যায়ের নেতাদের দায়িত্ব পালন করতে হবে। এই দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করতে না পারলে কেয়ামতের ময়দানে দায়িত্বশীলদের কঠিন জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখী হতে হবে। নেতাকে দায়িত্বপালনে আন্তরিক হতে হবে। অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে আঞ্জাম দেয়া সম্ভব হলে আন্দোলন সফলতা অর্জন করতে পারবে।

এ টি এম মা’ছুম বলেন, সমাজ পরিবর্তনের জন্য আদর্শিক জ্ঞানের বিকল্প নেই। শ্রমিক কল্যাণের নেতাকে জ্ঞান, দক্ষতা ও যোগ্যতায় সমৃদ্ধ হতে হবে। তাদেরকে অত্যধিক পরিমাণে কুরআন-হাদিস অধ্যয়ণ করতে হবে। কুরআন-সুন্নাহর জ্ঞান ছাড়া আদর্শিক আন্দোলন সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করা সম্ভব হবে না।

সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক হারুনুর রশিদ খান বলেন, রাসুল সা: আন্দোলনের মূলভিত্তি ছিলেন শ্রমজীবী মানুষরা। যারা আল্লাহর স্পর্শে এসে সোনার মানুষে পরিণত হয়েছিল। যাদের সাথে নিয়ে রাসুল সা: একটি আদর্শিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। আজকের যুগেও শ্রমজীবী মানুষদের রাসুলের দেখানো পরিচালিত করা গেলে আমাদের দেশেও জুলুম-শোষণ ও বৈষম্যহীন ন্যায় ও ইনসাফের আদর্শিক সমাজ-রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হবে।


সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।