ছবি: চ্যানেল অনলাইন

হতশ্রী বিশ্বকাপ শেষের পর এবার বড় দুঃসংবাদ পেল শ্রীলঙ্কা। লঙ্কান ক্রিকেটের সদস্যপদ স্থগিত করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে আইসিসি। দলটির ক্রিকেট বোর্ডের ওপর সরকারি হস্তক্ষেপের কারণে এমন সিদ্ধান্ত নিয়ছে বিশ্ব ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা।

শুক্রবার এক বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে আইসিসি। বলেছে, , আইসিসি বোর্ড আজ বৈঠকে বসে ঠিক করেছে যে, শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট একটি সদস্য হিসেবে তার বাধ্যবাধকতাগুলির গুরুতর লঙ্ঘন করছে। বিশেষ করে, স্বায়ত্তশাসিতভাবে তার বিষয়গুলো পরিচালনা করার প্রয়োজনীয়তা এবং শাসন, প্রবিধান এবং প্রশাসনে কোনও সরকারি হস্তক্ষেপ নেই তা নিশ্চিত করতে পারেনি শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট।

যার ফলশ্রতিতে এই নিষেধাজ্ঞা দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আইসিসি। তারা আরও জানিয়েছে, নিষেধাজ্ঞার শর্তগুলো আইসিসির বোর্ড সিদ্ধান্ত নিয়ে পরবর্তীতে যথাসময়ে জানাবে।

চলতি বিশ্বকাপে বাজে পারফরম্যান্সের কারণে শ্রীলঙ্কার ক্রীড়ামন্ত্রী রোশান রামানসিংহে পুরো ক্রিকেট বোর্ডকে বিলুপ্ত ঘোষণা করে বিশ্বকাপজয়ী সাবেক অধিনায়ক অর্জুনা রানাতুঙ্গাকে অন্তবর্তীকালীন দায়িত্ব বুঝিয়ে দেয়। দেশটির আদালত সেই আদেশ বাতিল করে পুরোনো কর্তাদের বহাল করে।

আদালতের ওই আদেশের দুইদিন পর দেশটির সংসদে সরকারি দল ও বিরোধী দলের সর্বসম্মতিক্রমে বোর্ড সদস্যদের বরখাস্ত করার প্রস্তাব পাস করা হয়। গত বৃহস্পতিবার ‘দুর্নীতিগ্রস্থ এসএলসি (শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ড) ম্যানেজমেন্ট প্রত্যাহার’ নামে একটি বিল সংসদে উত্থাপন করেন দেশটির প্রধান বিরোধীদলীয় নেতা সাজিথ প্রেমাদাসা। উত্থাপন করা বিলে সরকারদলীয় নেতা নিমাল সিরিপালা ডি সিলভা সম্মতি প্রদান করেন। এরপর চূড়ান্ত প্রস্তাব পাস হয়।

এরপরই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থা (আইসিসি) বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করে এবং দেশটির সদস্য পদ স্থগিত করে। ১৯৮১ সালে আইসিসির পূর্ণ সদস্যপদ পেয়েছিল শ্রীলঙ্কা।

এর আগে ২০১৯ সালে সরকারি হস্তক্ষেপের কারণে জিম্বাবুয়ের সদস্যপদ স্থগিত করে আইসিসি। জিম্বাবুয়ের পর দ্বিতীয় পূর্ণ সদস্য দল হিসেবে নিষেধাজ্ঞার সম্মুখীন হল শ্রীলঙ্কা।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।