প্রকাশ: ০৫ আগস্ট ২০২৩, ২০:৪৪
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণকে উপজীব্য করে নির্মিত প্রথম শিশুতোষ চলচ্চিত্র ‘মাইক’ এর আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরু হয়েছে। পূর্ণদৈর্ঘ্য এ চলচ্চিত্রটি বাংলাদেশ সরকারের অনুদানে নির্মিত। ইতোমধ্যে প্রকাশ হয়েছে সিনেমাটির পোস্টার, ট্রেলার, টিজার ও গান। সিনেমাটি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে আগামী ১১ আগস্ট।
মুক্তির আগে শুক্রুবার (৪ আগস্ট) দ্বিতীয় দিনেরমত ছিল সিনেমাটির বর্ণিল প্রচারণা। বাংলাদেশ শিশু একাডেমির শিক্ষার্থীদের মাঝে প্রচারণার মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। প্রচারণার দ্বিতীয় দিনে ‘মাইক’ সিনেমায় অভিনয় শিল্পী বিশিষ্ট অভিনেতা তারিক আনাম,শিশু একাডেমির মহাপরিচালক আনজির লিটন, অভিনেতা ও নির্মাতা কচি খন্দকার, অভিনেত্রী তানভীন সুইটি, শিশু শিল্পীসহ কলাকুশলীগণ অংশ নেন।
সম্পর্কিত খবর
প্রচারণায় অংশ নিয়ে অভিনেতা তারিক আনাম খান বলেন, আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধ, বঙ্গবন্ধু ও তার ৭ই মার্চের ভাষণকে জানা ছাড়াও ‘মাইক’ সিনেমাতে অনেক ভালো গল্প আছে, অদ্ভুত সুন্দর গল্প আছে। একটা শিক্ষণীয় ছবি হয়েছে, তোমাদের সিনেমা হয়েছে। তোমরা সবাই বাবা-মাকে নিয়ে সিনেমাটি দেখবে। আমি নিশ্চিত এটা দেখলে সবার ভালো লাগবে।
সকলকে সিনেমাটি দেখার আহ্বান জানিয়ে অভিনেত্রী তানভীন সুইটি বলেন, আমরা নিজেরা জানতাম না পঁচাত্তর পরবর্তী সময়ে ৭ই মার্চের ভাষণ ছিল কিংবা দেশ কিভাবে স্বাধীন হয়েছে। পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট আমাদের জাতির পিতাকে সপরিবার হত্যা করার পর সবকিছু পাল্টে গিয়েছিল। অনেক কিছু নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। এই দেশটাকে কে তৈরি করে গেছেন? বঙ্গবন্ধুর একটা ডাকে লাখ লাখ মানুষ ছুটে এসেছিল। আমরাইতো সেইসব ইতিহাস জানি না। আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম কিভাবে জানবে? আপনারা সিনেমাটা দেখুন। যেই স্বাধীন দেশে বাস করছি সেই দেশের ইতিহাস তো সবাইকে জানতে হবে।
শিশু একাডেমির মহাপরিচালক আনজির লিটন বলেন,বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চকে উপজীব্য করে নির্মিত এই সিনেমা দেখলে ইতিহাস জানা যাবে। শিক্ষার্থীসহ অভিভাবকদের বলবো ‘মাইক’সিনেমাটি দেখতে। তাছাড়া শিশু একাডেমির একজন শিক্ষক ও একজন শিক্ষার্থী এই সিনেমায় কাজ করেছে, যেটি আমাদের জন্য অনেক আনন্দের।
লেখক, কলামিস্ট ও সংগঠক এফ এম শাহীনের প্রযোজনায় চলচ্চিত্রটি যৌথভাবে পরিচালনা করছেন এফ এম শাহীন ও হাসান জাফরুল বিপুল। গত ২৯ মে চলচ্চিত্রটি আনকাট সেন্সর ছাড়পত্র পেয়েছিল। ‘মাইক’ চলচ্চিত্রটি দেখে সেন্সরবোর্ডের সদস্যরা ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণকে কেন্দ্র করে এ ধরনের সিনেমা নির্মাণকে তারা সাধুবাদ জানিয়েছেন। গত ২৮ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) অডিটোরিয়ামে চলচ্চিত্রটির বিশেষ প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়।
‘মাইক’ চলচ্চিত্রের গল্পকার, প্রযোজক ও পরিচালক এফ এম শাহীন বলেন, ‘মাইক’ চলচ্চিত্র নতুন প্রজন্মের কাছে জাতির পিতার ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ নতুন মাত্রায় পৌঁছে দেবে। আগামী ১১ আগস্ট ‘মাইক’ দর্শকদের জন্য সিনেমা হলে মুক্তি পাবে। শিশুতোষ চলচ্চিত্র ‘মাইক’ এর মাধ্যমে তরুণ প্রজন্ম বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণসহ স্বাধীনতার ইতিহাস জানতে পারবে। একইসঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরতে ‘মাইক’ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। সবার প্রতি অনুরোধ আপনারা সিনেমা হলে আসুন, ভালো সিনেমা দেখুন।
পরিচালক হাসান জাফরুল বিপুল বলেন, ‘মাইক’ চলচ্চিত্রটি দেখে দর্শকরা আন্দোলিত ও উৎসাহিত হবে। নতুন প্রজন্মের জানা একাত্তরে কী হয়েছিল- ৭ মার্চের ভাষণকে ঢেকে রাখার চেষ্টা করা হয়েছে। আমাদের সবার দায়িত্ব এ ভাষণকে সবার কাছে পৌঁছে দেয়া এবং জাতিকে সঠিক ইতিহাস জানানো।
‘মাইক’ সিনেমায় অন্যান্যের মধ্যে অভিনয় করেছেন অভিনেতা নাদের চৌধুরী, ঝুনা চৌধুরী, জয়িতা মহলানবিশ, সংগীতা চৌধুরী, রহিম সুমন, ইকবাল হোসাইন, শিশুশিল্পী সানজিদ রহমান খান, আলী আবদুল্লাহ দাইয়ান ভূঁইয়া, খোন্দকার মেঘদূত জলিল, মীর্জা ত্বাবীব ওয়াসিত প্রমুখ।