fabbdbcbcecc dcd
ছবি: আজকের পত্রিকা

ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা উপজেলা পরিষদের পুকুর ভরাট বন্ধ করে নিরাপদ পানি সংরক্ষণের ব্যবস্থা করার দাবি জানিয়েছে ছয়টি সামাজিক সংগঠন। আজ বুধবার ময়মনসিংহ প্রেসক্লাবে সম্মিলিত ভাবে সংবাদ সম্মেলন করে এ দাবি জানানো হয়। 

সামাজিক সংগঠনগুলো হলো–ব্রহ্মপুত্র সুরক্ষা আন্দোলন, লিগ্যাল অ্যাসিস্ট্যান্স ফর ভালনারেবল সোসাইটি, ডিভিশনাল ব্লাড সোসাইটি ময়মনসিংহ, রাষ্ট্রচিন্তা ময়মনসিংহ, বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা) এবং বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা)। 

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ব্রহ্মপুত্র সুরক্ষা আন্দোলনের সমন্বয়ক আবুল কালাম আল আজাদ বলেন, ‘মুক্তাগাছা উপজেলা পরিষদ চত্বরে প্রায় এক একর জায়গা জুড়ে থাকা ঐতিহ্যবাহী পুকুরটি ভরাট করা হচ্ছে। নাগরিক সমাজ উদ্বেগ প্রকাশ করে আপত্তি জানানোর পরেও পুকুরটির সিংহভাগ ভরাট করা হয়েছে। 

কাজটি করছে স্বয়ং উপজেলা পরিষদ। এডিবির ১৪ লাখ টাকায় এই ভরাট কাজ চলছে। পাশাপাশি আমরা উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি, মুক্তাগাছা জমিদার বাড়ির সামনে জলটুংগি পুকুর পাড়ে সাইনবোর্ড লাগানো হয়েছে। তাতে লেখা আছে ‘এই পুকুর ভরাট করে প্লট আকারে বিক্রয় করা হবে’। এ ছাড়া ত্রিশাল থানা কম্পাউন্ডে থাকা একটি পুকুর ভরাট করা হয়েছে। 

তিনি বলেন, ‘ময়মনসিংহ শহরে অনেক পুকুর ছিল। রাজরাজেশ্বরী পুকুরসহ বেশির ভাগ পুকুর ভরাট করে বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে। বিগত বছরগুলোতে ছোট–বড় কয়েকটি অগ্নিকাণ্ডের সময় পানির অভাবে ফায়ার সার্ভিস কর্মীর আগুন নেভাতে হিমশিম খেয়েছে। 

শহরের প্রাণকেন্দ্রে বেসরকারি ল্যাবরেটরি স্কুলের পুকুরটি সিংহভাগ ভরাট করা হয়েছে। কিছুদিন আগে পুকুরের একপাশে নতুন করে মাটি ফেলা হয়েছে। এসব ঘটনায় আমরা উদ্বিগ্ন এবং আতঙ্কিত। আমরা মনে করি, পুকুর ভরাট করা অন্যায়। প্রকৃতির ওপর নিপীড়ন।’ 

আবুল কালাম আল আজাদ আরও বলেন, ‘পুকুর ভরাটে হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। মুক্তাগাছা উপজেলা পরিষদ চত্বরে পুকুর ভরাট করাটা অন্যায়, প্রকৃতি বিরোধী কাজ এবং হাইকোর্টের নির্দেশনার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।’ 

প্রশাসনের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, মুক্তাগাছা পরিষদ চত্বরের বিশাল পুকুরটি থেকে মাটি সরিয়ে নিন, পুকুরটি সংস্কার করে পানি সংরক্ষণের ব্যবস্থা করুন। সব পুকুর জলাশয় রক্ষায় যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণ করুন। পাশাপাশি, পুকুর জলাশয় ভরাটের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি ও বিভাগীয় পদক্ষেপ নিন। যেন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান পুকুর বা জলাশয় ভরাট করতে নিরুৎসাহিত হয়। 

এ সময় অঞ্জন সরকার, এহসান হাবিব, গৌতম চন্দ্র চন্দ, ফরিদুল ইসলাম, কবি সরকার আজিজ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। 

উল্লেখ্য, সরকারি পুকুর ভরাট করে মুক্তাগাছা উপজেলা পরিষদের ভবন নির্মাণের প্রস্তুতির বিষয়টি নিয়ে গণমাধ্যমে খবর ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অসন্তোষ শুরু হয়। এডিবির অর্থায়নে উপজেলা পরিষদের এই পুকুর ভরাট চলছে। এরপর সামাজিক সংগঠনগুলো পুকুর ভরাটের প্রতিবাদে সরব হয়ে উঠে।


সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।