ছবি: ইনক্লাব

পিএসজি কাতার ব্যবসায়ীদের মালিকাধীন হওয়ার পর থেকেই ফ্রান্স ফুটবলে একচেটিয়া প্রভাব বিস্তারকারী তারা। প্যারিসের ক্লাবটির এই অর্থের ঝনাঝনির মাঝে কেবল দুইজন ম্যানেজার পেরেছিলেন ভিন্ন ক্লাবের হয়ে লিগ ওয়ান জিততে। মোনাকোর হয়ে লিওনার্দো জাদরিম ও লিলের হয়ে ক্রিস্টোফ গালতিয়ের। জাদরিমের মোনাকোও লিগ জেতার পিছনে ছিল অর্থের বিশাল অবদান। তবে একদম সাদামাটা দল নিয়ে ফ্রান্সে বুর্জোয়াদের প্রতাপ ভেঙ্গেছিলেন গালতিয়ের। এই ফরাসি ৮ মাস আগে নিয়েছেন পিএসজির দায়িত্ব। তার অধীনে দলও ভালো করছে, অথচ চাকরি হারানো খড়গের উপর আছেন এই ৫৬ বছর বয়সী ম্যানেজার। হবেই না বা কেন? পিএসজির কাছে সাফল্যের আরেক নাম চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনাল খেলা বা জেতা। যদি কোন কোচ তা করতে ব্যর্থ হয় তবে তার চাকরি বাঁচানো দায়। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলর প্রথম লেগে বায়ার্ন মিউনিখের বিপক্ষে ১-০ ব্যবধানে হেরে তাই কঠিন বাস্তবতার সামনে গালতিয়ের। আগামীকাল রাতে বায়ার্নের মাঠে যদি কমপক্ষে ২-১ ব্যবধানে জিততে না পারে তবে প‚র্বসরিদের পথ ধরতে হবে এই কোচকে।
এবারের ভ্যালেন্টাইনের রাতে পিএসজির ঘরের মাঠে বায়ার্ন জিতে আসে কিংসলে কোম্যানের একমাত্র গোলে। প্রাক্তন পিএসজি ফুটবলার কোম্যান ভালবাসার দিনে পুরোনো ক্লাবের বিপক্ষে গোল করে বুঝিয়ে দিয়েছিলেন যে, তার আর কোন প্রেম অবশিষ্ট নেই প্যারিসের ক্লাবটির প্রতি। ২০১৯-২০ মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে হারার পরের মৌসুমেই শেষ আটে বায়ার্নের মুখোমুখি হয় পিএসজি। সেবারও দুই লেগ মিলিয়ে ভালো ফুটবল খেলে জার্মান জুজু কাটাতে পারেনি প্যারিসের ক্লাবটির। দুই লেগ মিলিয়ে কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে বিদায় নিতে হয়েছিল বøুজদের।
এদিকে বায়ার্ন শেষ ১২ মৌসুমে কেবল একবার এই আসরের শেষ ষোল থেকে ছিটকে পরেছিল। সেটা ২০১৮-১৯ মৌসুমে লিভারপুলের বিপক্ষে। এবার তাই গ্যালতিয়ের শিষ্যদের শেষ আটে যেতে হলে খালি ভালো খেললেই চলবে না, বহু সমীকরণকেও বুড়ো আঙ্গুল দেখাতে হবে। বায়ার্ন আসরের শেষ ৬ ম্যাচের সবকটি জিতেছে যেখানে পিএসজির জয় কেবল ৬ ম্যাচে কেবল তিনটি।
তবে যে দলে মেসি এবং এমবাপের মত দুইজন বিশ্বসেরা ফরোয়ার্ড আছে, তারাতো যে কোন মুহুর্তেই খেলার সকল হিসেব-নিকেষ নিজেদের পক্ষে নিয়ে আসতে পারেন। সবশেষ লিগ ওয়ানের ম্যাচে এই জোড়ার দারুন পারফরম্যান্সেই নতের বিপক্ষে ৪-২ গোলের বিশাল জয় পেয়েছে পিএসজি। সেই ম্যাচে বøুজদের হয়ে ২০১তম গোল করে এমবাপে ছাড়িয়ে গিয়েছেন ক্লাবটির ইতিহাসের সর্বোচ্চ স্কোরার এডিসন কাভানিকে। অনুপ্রাণিত এমবাপে যে একাই কি করতে পারেন তার নজির জানা আছে ফুটবল বিশ্বের। মাত্র মাস তিনেক আগে কাতার বিশ্বকাপের ফাইনালে এই ২৪ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড একাই প্রায় হারিয়ে দিয়েছিলেন চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনাকে। সেই ঝলকের একটু খানি আগামীকাল রাতেও দেখা গেলে অবাক হওয়ার কিছুই থাকবে না। এমবাপে যে ম্যাচটিতে সতীর্থ হিসেবে পাচ্ছেন গ্রহের আরেক সেরা মেসিকে।

 

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।