bfbebfbeffafc edeafaf
ছবি: ইত্তেফাক

অতি আরামপ্রিয় ফেসবুকজীবী স্বামী সকালে খবরে দেখলেন ‘বাজারে আগুন’। এবার বাজারে যাওয়া লাগবে না ভেবে দিব্যি ঘুমিয়ে দুপুর, পাশের বাড়ির ভাবি আবার এসে খবর দিয়ে গেছেন বাজারে আগুন লেগেছে ঠিকই কিন্তু তা দামের বাজারে। ভাবির স্বামী বড় বড় দুইখান ইলিশ ঝুলিয়ে এনেছেন, তার স্বামীর মুখে মধু অন্তরে জ্বালা। জ্বালা দূর করতে গেছেন পাশের নর্দমায়, গোসল শেষে আগুনলাগা দামের বাজার থেকে আমের ঝুড়ি নিয়ে ফিরবেন।

আরামপ্রিয় স্বামীর এবার ঘরের খাবার হয়ে গেল হারাম।

বাজারে আগুন লেগেছে এই খবর শুনে হাড়িতে চাল-পানি নিয়ে অনেকেই হাজির বাজারে। গ্যাসের যা দাম! এই সুযোগে যদি রান্নাটা করে নেওয়া যায়, ভালোই হয়।

ঘর পোড়ায় আলু পোড়া তো ছোটবেলা থেকেই দিয়েছেন সবাই, এবার বাজার পোড়ায় বেগুন পোড়া দিতে প্রস্তুত  সর্বদলীয় ভাবি ঐক্য পরিষদ।

কেউ একজন ফায়ার সার্ভিসে খবর দিয়ে দিয়েছেন, ফায়ার সার্ভিস এসে আগুন খুঁজে না পেয়ে বিরক্ত।

এবার একজন নির্যাতনের শিকার বিবাহিত পুরুষ বললেন, আপনারা শুধু বাইরের আগুনটাই নেভাতে পারেন? ভিতরের আগুনটা কি আপনারা দেখেন না? নাকি আপনাদের ঘরে বউ নাই? নাকি আপনাদের বাজার করতে হয় না?

এই প্রশ্ন শুনে হিমালয়ের বরফের মতো মন গলে গেল ফায়ার সার্ভিসের লোকদের।

তারা উক্ত স্থানে সর্বদলীয় কাঁদো সংগ্রাম পরিষদ গঠন করে এক মিনিটের কান্নাবতা পালন করলেন।

বাজারের মধ্যে একমাত্র কেরোসিন দোকানদার এসে হাহাকার শুরু করলেন। এভাবে গরিবের পেটে লাথি মারা নাকি চরম মানবতা গর্হিত অপরাধ বলে মনে করেন তিনি। বাজারে আগুন লাগানো হলো কিন্তু তার কাছ থেকে কেরোসিন নেওয়া হলো না বলেই এই আহাজারি তার।

অন্যদিকে বাংলাদেশ সর্বশসা দলের পুরুষ বিভাগ বিক্ষোভ শুরু করেছেন। তাদের দাবি—খাওয়ার মধ্যে তো খাই একটু শসাই। তাও যদি আগুন লেগে পুড়ে যায় তাহলে তো গরু-মুরগির দিকেই আবার ঝুঁকে যেতে হবে। আর সম্মিলিত ভুঁড়ি কমাও আন্দোলন তখন যাবে বন্ধ হয়ে।

এদিকে সর্বশসা নারী দলের মুখে মাখাও ইউনিট নতুন করে হ্যাশট্যাগ আন্দোলন শুরু করেছে যার নাম দিয়েছে ‘মুখেমাখাশসাপুড়লোকেন’?

পরিবেশবাদী সংগঠনগুলো আস্তে আস্তে ভীড় করতে শুরু করেছে বাজারে। তাদের দাবি একটাই, বাজার থেকে দিয়াশলাই খেদাও, বাজারে দিয়াশলাই থাকলে কেউ না কেউ ইচ্ছা করে আগুন দিয়ে দিতে পারে। তাই বাজারে দিয়াশলাই বিক্রি নিষিদ্ধের দাবিতে আমরণ বিনোদন উত্সব ডাকলেন তারা।

এদিকে সর্বদলীয় ডিম বিক্রেতা পরিষদের দাবি, ডিমের দাম বেড়ে যাওয়ায়, মুরগি মালিকরা মুরগিকে দিনে একের অধিক ডিম পাড়ার জন্য চাপ দেয়। আর সেই রাগ ক্ষোভের বশবর্তী হয়ে মুরগি সম্প্রদায় আগুন লাগিয়েছে বাজারে।

এদিকে জেনারেল ওয়াটার সম্প্রদায়ের দাবি, পানির দাম আজ ডিমের চেয়েও বেশি, পানি এখন কিনে খেতে হচ্ছে অনেক দামে।  সেখানে আগুন নেভাতে পানি দেওয়া তো বিলাসিতার ব্যাপার।

সুবিধাবাদ জিন্দাবাদ নামের এক সংগঠন খুঁজে বেড়াচ্ছে কোথায় আলু পুড়েছে কোথায় বেগুন পুড়েছে। এগুলো দিয়ে ভর্তা খাওয়া যাবে। আনেকে ভাবছে—কোথায় মুরগি পুড়েছে তা দিয়ে তো বার-বি-কিউ খাওয়া যাবে।


সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।