fabbdbcbcecc dcd
ছবি: আজকের পত্রিকা

পটুয়াখালীর মহিপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র থেকে গত বৃহস্পতি, শুক্র ও শনিবার তিন দিন প্রায় ৭৮ লাখ টাকার মাছ বাকিতে কিনেছেন এক পাইকারি মাছ ব্যবসায়ী। পরে গত রোববার সেসব টাকা পরিশোধের কথা থাকলেও ওই দিন থেকেই তিনি উধাও হয়ে যান। পরে আড়তের মালিকেরা থানায় অভিযোগ দিলে আজ বুধবার ভোররাতে ঢাকার একটি আবাসিক হোটেল থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

গ্রেপ্তার হওয়া ওই পাইকারি মাছ ব্যবসায়ীর নাম নিলয় পারভেজ বাবলু। তিনি সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়া উপজেলার আফজাল হোসেনের ছেলে। তিন বছর যাবৎ তিনি মহিপুর মৎস্য বন্দরের বিভিন্ন আড়ত থেকে পাইকারি মাছ কিনে দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করেন।

মহিপুর মৎস্য আড়তের মালিকেরা বলছে, শুক্র ও শনিবার ব্যাংক বন্ধ থাকায় ১৬টি আড়ত থেকে বাকিতে প্রায় ৭৮ লাখ টাকার মাছ কেনেন নিলয়। রোববার সন্ধ্যা সবাইকে টাকা দেওয়ার কথা থাকলেও ওই দিনের তিনি গা ঢাকা দেন। পরে ওই দিন রাতে একটি আড়তের মালিক বাদী হয়ে মহিপুর থানায় মামলা করলে পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে।

মহিপুর মৎস্য আড়ত মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক রাজা আহম্মেদ রাজু আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের মৎস্য বন্দরে সব পাইকারি ব্যবসায়ীই বাকিতে মাছ কেনাবেচা করেন। শুক্রবার ব্যাংক বন্ধ থাকায় তিন দিনে ৭৮ লাখ টাকার মাছ কিনে সে পালিয়ে যায়। পরে আমাদের কয়েকটি টিম তার গ্রামের বাড়ি সাতক্ষীরায় খোঁজখবর নিয়েও তাকে পায়নি। অবশেষে মহিপুর থানা-পুলিশের সহায়তায় তাকে আটক করা সম্ভব হয়।’

এ বিষয়ে মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফেরদৌস আলম খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গরিবের টাকা মেরে বড়লোক হওয়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন নিলয় পারভেজ। তিনি মাছগুলো ঢাকার কারওয়ান বাজার বিক্রি করে, সেই টাকা নিয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন। কিন্তু মহিপুর থানা-পুলিশ বিভিন্নভাবে অভিযান চালিয়ে তাঁকে ঢাকার ফার্মগেট এলাকার একটি আবাসিক হোটেল থেকে গ্রেপ্তার করে।’

তিনি আরও বলেন, ‘গ্রেপ্তারের সময় তাঁর কাছ থেকে মাছ বিক্রির ১০ লাখ ৫০ হাজার টাকা ও ২টি মোবাইল ফোনসেট জব্দ করা হয়। বাকি টাকা তিনি কোথায় রেখেছেন তা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন। সেগুলো উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। তাঁর বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।’


সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।