ছবি: নয়া দিগন্ত


ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় এক মাসের বেশি সময় ধরে চলছে ইসরাইলি আগ্রাসন। এই আগ্রাসনের বিরুদ্ধে বিশ্বজুড়ে নিন্দার ঝড় উঠলেও ঢালাওভাবে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। এমন পরিস্থিতিতে আরব বিশ্বে মার্কিনবিরোধী ক্ষোভ বাড়ছে বলে বাইডেন প্রশাসনকে সতর্ক করেছে যুক্তরাষ্ট্রের কূটনীতিকরা।

গোপন কূটনৈতিক বার্তার সূত্রে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গণমাধ্যম সিএনএন-এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কূটনীতিকরা বলেছেন, ইসরাইল-ফিলিস্তিন যুদ্ধে ইসরাইলকে একতরফাভাবে সমর্থন দেয়ায় আমরা আরব জনগণকে হারাতে বসেছি।

ওমানে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাসের পাঠানো বার্তায় বলা হয়, ‘গাজা যুদ্ধে ইসরাইলকে ঢালাওভাবে সমর্থন করায় আমরা যুদ্ধক্ষেত্রে খুব বাজেভাবে হেরে যাচ্ছি। বস্তুগত ও নৈতিকভাবে আরব বিশ্ব এই সমর্থনকে যুদ্ধাপরাধ হিসেবে বিবেচনা করছে।’

কায়রোতে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাস মিশরের সরকারি সংবাদপত্রের ভাষ্য পাঠিয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, ‘প্রেসিডেন্ট বাইডেনের নিষ্ঠুরতা এবং ফিলিস্তিনিদের প্রতি অবজ্ঞা আগের সকল মার্কিন প্রেসিডেন্টদের ছাড়িয়ে গেছে।’

প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ফিলিস্তিনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ইসরাইলের প্রতি মার্কিন সরকারের সমর্থন একাধিকবার ঘোষণা করেছেন। ইসরাইলে ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর তিনি তেল আবিব সফর করেন। এর ফলে ফিলিস্তিনে একটি পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধ শুরু হয়েছে।

এদিকে, ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ইসরাইল গাজার বেসামরিক বাসিন্দাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের তীব্রতা বৃদ্ধি করেছে। গাজাবাসীদের এই দুর্ভোগ যুদ্ধের পরিধি সম্প্রসারণ করাকে অনিবার্য করে তুলেছে।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আশরাফ আল-কিদরা আল জাজিরা টেলিভিশনকে বলেছেন, গত কয়েক ঘণ্টায় ইসরাইল বেশ কয়েকটি হাসপাতালে একযোগে হামলা চালায়।

কিদরা বলেন, ইসরাইল গাজা শহরের সবচেয়ে বড় আল শিফা হাসপাতালের একটি আঙিনায় আঘাত হানে। এতে অনেকে হতাহত হয়। এ বিষয়ে তিনি এর বেশি কিছু বলেননি।

মার্কিন গণমাধ্যম এপির প্রতিবেদনে জানানো হয়, শত শত ফিলিস্তিনিপন্থী বিক্ষোভকারীরা বৃহস্পতিবার দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমসের প্রবেশ পথ অবরোধ করে। এ সময় তারা পত্রিকাটির বিরুদ্ধে গাজা যুদ্ধে ইসরাইলের প্রতি অন্যায় পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ করে। তারা কর্তৃপক্ষকে এই অন্যায় পক্ষপাতিত্ব ছেড়ে যুদ্ধ বিরতির প্রতি সংহতি জানানোর আহ্বান জানায়।

সূত্র : সিএনএন ও অন্যান্য


সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।