image
ছবি: ঢাকা টাইম

দেশজুড়ে পরিচিতি রয়েছে নাটোরের কাঁচাগোল্লার। এবার দেশের ১৭তম জিআই পণ্যের স্বীকৃতি পেল বিখ্যাত এই মিষ্টান্ন। বৃহস্পতিবার পণ্যটির জিআই সনদ পৌঁছেছে নাটোর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে।

এর আগে ৮ আগস্ট শিল্প মন্ত্রণালয়ের পেটেন্ট শিল্প নকশা ও ট্রেড মার্কস অধিদপ্তরের মহাপরিচলক খোন্দকার মোস্তাফিজুর রহমানের স্বাক্ষরে নাটোর জেলা প্রশাসকের নামে কাঁচাগোল্লার জিআই স্বীকৃতি অনুমোদন দেওয়া হয়।

নাটোরের জেলা প্রশাসক আবু নাছের ভূঁঞা জানান, কাঁচাগোল্লা জেলা প্রশাসকের নামে নিবন্ধন হয়েছে। এখন এটাকে বিকৃত করতে দেওয়া হবে না।

নাটোরের কাঁচাগোল্লাকে ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য (জিআই) হিসেবে নিবন্ধন দেয়ায় খুশি ব্যবসায়ীরাও। এখন থেকে কাঁচাগোল্লার নামে যেনতেন মিষ্টান্ন বিক্রি ঠেকানো যাবে বলেই তাদের আশা।

কাঁচাগোল্লা প্রস্তুত প্রণালি

গরুর দুধ ১২ থেকে ১৪ ঘণ্টা প্রক্রিয়া করে তৈরি হয় কাঁচাগোল্লা। সকাল থেকে নাটোর শহরের মিষ্টির দোকানগুলোর কারখানায় কাঁচাগোল্লা প্রস্তুতের প্রক্রিয়া শুরু হয়। মিষ্টি তৈরির কারখানায় আসা দুধ ৪০ থেকে ৪৫ মিনিট চুলায় জ্বাল দিয়ে তৈরি হয় ছানা। ৮-১০ ঘণ্টা ছানা শুকিয়ে মাঝরাতে শুরু হয় কাঁচাগোল্লা তৈরি। ৭ কেজি ছানা ও ৩ কেজি চিনি ২০ থেকে ২৫ মিনিট জ্বাল দিয়ে তৈরি হয় কাঁচাগোল্লা। শুধু দুধ ও চিনি দিয়ে ১২ থেকে ১৪ ঘণ্টার প্রক্রিয়া শেষে তৈরি হয় নাটোরের বিখ্যাত কাঁচাগোল্লা।

জেলা প্রশাসনের তথ্য বাতায়নে বলা হয়েছে, প্রায় ২৫০ বছর আগে শহরের লালবাজারে মধুসূদনের মিষ্টির দোকানের কারিগর না আসায় তার দোকানে থাকা ছানা নিয়ে বিপাকে পড়েন। ছানাগুলো রক্ষায় চিনির রস ঢেলে জ্বাল দেন। চুলা থেকে নামিয়ে ঠান্ডা করে তিনি সেটা নিজেই খেয়ে পরীক্ষা করেন। চমৎকার স্বাদ পেয়ে নাম দেন কাঁচাগোল্লা।

(ঢাকাটাইমস/১০আগষ্ট/পিআর/ডিএম)


সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।