fabbdbcbcecc dcd
ছবি: আজকের পত্রিকা

দক্ষিণ আফ্রিকার কেপটাউনে প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে চলমান ট্যাক্সি ও মিনিবাস ধর্মঘটে সহিংসতায় অন্তত পাঁচজন নিহত হয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার কেপটাউন কর্তৃপক্ষবিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। 

স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে বিভিন্ন ইস্যুতে মতৈক্যে পৌঁছাতে ব্যর্থ হওয়ার পর গত সপ্তাহের বৃহস্পতিবার সাত দিনের জন্য আঞ্চলিক ধর্মঘট ডাকে দ্য সাউথ আফ্রিকান ন্যাশনাল ট্যাক্সি কাউন্সিল (স্যান্টাকো)। নতুন পৌর আইনের আওতায় স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে লাইসেন্স বা রেজিস্ট্রেশন ছাড়া গাড়ি চালানোর অভিযোগে যানবাহন বাজেয়াপ্ত করার ক্ষমতা দেওয়ার পর মূলত এই আন্দোলনের সূত্রপাত হয়। 

পরে নতুন আইনের সূত্র ধরে কেপটাউনে গত সপ্তাহ থেকে পুলিশ গাড়ি বাজেয়াপ্ত করা শুরু করলে ট্যাক্সি ও মিনিবাসের চালকেরা ক্ষুব্ধ হন। পরে তাঁরা পুলিশের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু করেন। একপর্যায়ে একাধিক বাস ও গাড়ি পুড়িয়ে দেন। এ ছাড়া পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর ছুড়ে মারেন। 

দক্ষিণ আফ্রিকার পুলিশমন্ত্রী ভেকি সেলে পাঁচ জন নিহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছেন, নিহতদের মধ্যে একজন ব্রিটিশ নাগরিকও রয়েছেন। তাঁকে অজ্ঞাত বন্দুকধারীরা গুলি করে হত্যা করেছে। ভেকি সেলে জানান, এই হত্যাকাণ্ডসহ সব মৃত্যুর তদন্ত করা হবে। তিনি জানান, জনগণের সম্পত্তি লুটপাট ও ক্ষতিগ্রস্ত করায় এখন পর্যন্ত ১২০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। 

কেপটাউন সিটি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এই ধর্মঘট শহরের মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রাকে ব্যাহত করেছে। বিশেষ করে যাতায়াত ব্যাপকভাবে বাধাগ্রস্ত হয়েছে। তবে শহরের মেয়র গর্ডন হিল লেভিস কোনো ধরনের সহিংসতা সহ্য করা হবে না উল্লেখ করে বলেন, ‘এই কেপটাউনে সহিংসতাকে কোনো ধরনের আলোচনার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করাকে সহ্য করা হবে না। আমরা স্যান্টাকোর প্রতি আহ্বান জানাব তাঁরা আবারও শান্তিপূর্ণভাবে আলোচনার টেবিলে ফিরে আসুক। 

তবে স্যান্টাকো জানিয়েছে, তারা কোনো ধরনের সহিংসতার সঙ্গে যুক্ত নয়। যাঁরা সহিংসতা চালিয়েছেন, তাঁরা স্যান্টাকোর সদস্যও নন বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।


সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।