fabbdbcbcecc dcd
ছবি: আজকের পত্রিকা

জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান দুলাল এমপির উপস্থিতিতে লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির কাছে সাক্ষ্য দিয়েছেন ভুক্তভোগী জামালপুর-শেরপুর সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য হোসনে আরা। 

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে তদন্ত কমিটির সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আ ব ম জাফর ইকবাল জাফু বিষয়টি আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন। 

গতকাল বুধবার (৬ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টার দিকে জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে ঘটনার বিবরণ দেন দলীয় নেতার কাছে লাঞ্ছিত হওয়ার অভিযোগকারী এমপি হোসনে আরা। 

গত ১৭ আগস্ট ইসলামপুর উপজেলায় আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে ৬৩ জেলায় সিরিজ বোমা হামলার প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ও ইসলামপুর আসনের সংসদ সদস্য ফরিদুল হক খান দুলাল। সভায় উপজেলা আওয়ামী লীগের শ্রমবিষয়ক সম্পাদক আনোয়ারুল ইসলামের কাছে লাঞ্ছিত হন বলে অভিযোগ করেন এমপি হোসনে আরা। 

এমপি হোসনে আরা বলেন, ‘গতকাল বুধবার সকাল ১০টা থেকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে তদন্ত কমিটির সদস্যদের কাছে আমাকে লাঞ্ছিত করার ঘটনার বিবরণ দিয়েছি।’ 

ইসলামপুর উপজেলার বাসিন্দা হোসনে আরা অভিযোগ করেন, ‘জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রধানমন্ত্রী ও দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে আমি নির্বাচনী এলাকায় অবস্থান করে সকল রাজনৈতিক ও সামাজিক কর্মকাণ্ডে অংশ নিচ্ছি। কিন্তু নিজ উপজেলায় কোনো রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড, এমনকি দলীয় বর্ধিত সভায়ও আমাকে ডাকা হয় না। সম্পৃক্ত করা হয় না রাজনৈতিক কোনো কর্মকাণ্ডেও।’ 

কৃষকলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি হোসনে আরা আরও বলেন, বিনা-আমন্ত্রণে গত ১৭ আগস্ট উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত স্থানীয় দলীয় কার্যালয়ে ‘সারাদেশে সিরিজ বোমা হামলা দিবস’ উপলক্ষে আলোচনা সভায় আমি উপস্থিত হই। রাত সাড়ে ৮টার দিকে তুচ্ছ বিষয়ে আলোচনার জের ধরে উপজেলা আওয়ামী লীগের শ্রম-বিষয়ক সম্পাদক আনোয়ারুল ইসলাম আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করেন। একপর্যায়ে ওই নেতা তেড়ে এসে আমাকে লাঞ্ছিত করেন। এ সময় ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান দুলাল ওই নেতাকে নিবৃত্ত না করে উল্টা আমাকেই ধমক দেন। পরে লোকলজ্জার ভয়ে আমি দ্রুত সভাস্থল ত্যাগ করি। 

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ওই ঘটনায় স্থানীয় আওয়ামী লীগ বিচার না করায় প্রধানমন্ত্রী, স্পিকার এবং জেলা আওয়ামী লীগ বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন এমপি হোসনে আরা। 

জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি অধ্যাপক আব্দুল হামিদকে আহ্বায়ক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ মোখলেছুর রহমানকে সদস্যসচিব ও সাংগঠনিক সম্পাদক আ ব ম জাফর ইকবাল জাফুকে সদস্য করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। 

তদন্ত কমিটির সদস্য জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আ ব ম জাফর ইকবাল জাফু আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এমপি হোসনে আরা লাঞ্ছিত হওয়ার অভিযোগ করেন। আমরা তদন্তকাজ করে যাচ্ছি।’ 

তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক ও জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি অধ্যাপক আব্দুল হামিদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটনার জবানবন্দি দিয়েছেন এমপি হোসনে আরা। শিগগিরই তদন্ত প্রতিবেদন জেলা আওয়ামী লীগের নেতাদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।’


সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।