sa vs nz half
ছবি: যমুনা

ছবি: সংগৃহীত

বিশ্বকাপের ৩২তম ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে আগে ব্যাট করতে নেমে কুইন্টন ডি কক ও রাসি ভ্যান ডার ডুসেনের জোড়া সেঞ্চুরিতে ৩৫৭ রানের বড় সংগ্রহ দাঁড় করিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। শেষ দিকে কিউই বোলারদের ওপর রীতিমতো তাণ্ডব চালিয়ে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন ডেভিড মিলার। এই বাঁহাতি ব্যাটারের ঝড়ো ইনিংসে শেষ ১০ ওভারে ১১৯ রান তুলে প্রোটিয়ারা। জয়ের জন্য নিউজিল্যান্ডের প্রয়োজন ৩৫৮ রান।

বুধবার (১ নভেম্বর) পুনের মহারাষ্ট্র ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়ামে টসে জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন কিউই অধিনায়ক টম লাথাম। ব্যাট করতে খানিকটা সাবধানী শুরু করেন প্রোটিয়া দুই ওপেনার টেম্বা বাভুমা ও কুইন্টন ডি কক। টেম্বা বাভুমা আক্রমণাত্বক খেলার চেষ্টা করলেও ডি কক দেখেশুনেই ব্যাটিং করেন। দ্রুত রান তুলতে গিয়ে জুটি বড় করতে পারেননি তারা। ইনিংসের নবম ওভারে প্রথম উইকেট হারায় প্রোটিয়ারা। টেন্ট্র বোল্টের লেন্থ ডেলিভারিতে ড্রাইভ করতে চেয়েছিলেন বাভুমা। এজ হয়ে বল স্লিপে থাকা ড্যারিল মিচেলের হাতে গেলে ফিরে যেতে হয় তাকে। সাউথ আফ্রিকার অধিনায়কের ব্যাট থেকে আসে ২৪ রান।

তিনে নামা ডুসেনকে সঙ্গে নিয়ে এগিয়ে যেতে থাকেন ডি কক। তারা দু’জনে মিলে দারুণ জুটিও গড়ে তোলেন। ২০.১ ওভারে দলের শতরান পূরণ করে প্রোটিয়ারা। সেই ওভারে ৬২ বলে হাফ সেঞ্চুরি স্পর্শ করেন ডি কক। আরেক ব্যাটার ডাসেন হাফ সেঞ্চুরি পান ৬১ বলে। এরপর রীতিমতো তাণ্ডব চালান এই দুই ব্যাটার। মারমুখি ব্যাটিংয়ে বিশ্বকাপের চতুর্থ সেঞ্চুরি তুলে নেন ডি কক। ২০০ রানের জুটি গড়েন এই দুই ব্যাটার। দলীয় ২৩৮ রানে ১০ চার ও ৩ ছক্কায় ১১৬ বলে ১১৪ রান করে সাজঘরে ফিরে যান ডি কক।

এরপর উইকেটে আসা ডেভিড মিলারকে সঙ্গে নিয়ে রানের চাকা সচল রাখেন ডুসেন। আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে তিনিও সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। সেঞ্চুরির পরও মারমুখি ব্যাটিং চালিয়ে যান ডুসেন। মিলারও চড়াও হন কিউই বোলারদের ওপর। তবে দলীয় ৩১৬ রানে ৯ চার ও ৫ ছক্কায় ১১৮ বলে ১৩৩ রান করে আউট হন ডুসেন। তার বিদায়ের পর ক্রিজে আসা হেনরিখ ক্লাসেনকে সঙ্গে নিয়ে রানের চাকা সচল রাখেন মিলার।

ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ২৯ বলে অর্ধশতক পূরণ করেন মিলার। এরপরেই ৩০ বলে ৫৩ রান করে আউট হন মিলার। শেষ পর্যন্ত ৫০ ওভার শেষে ৪ উইকেট হারিয়ে ৩৫৭ রান সংগ্রহ করে প্রোটিয়ারা। নিউজিল্যান্ডের হয়ে ২ উইকেট শিকার করেন টিম সাউদি। এছাড়াও, ১টি করে উইকেট পান জিমি নিশাম ও ট্রেন্ট বোল্ট।

/আরআইএম


সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।