dudok
ছবি: সমকাল

তথ্য গোপন ও ইয়াবা ব্যবসা করে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে কক্সবাজারের টেকনাফে মাহমুদুর রহমান (৫৭) নামে এক সাবেক জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। 

জানা যায়, তার বিরুদ্ধে ৪ কোটি ২১ লাখ ৬৩ হাজার ৯৫০ টাকার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের তথ্য গোপন করে মিথ্যা তথ্য দেওয়া এবং জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ৫ কোটি ৩০ লাখ ৫৫ হাজার ৯৫৫ টাকার সম্পদের সন্ধান পায় দুদকের অনুসন্ধানী দল। এরপর মঙ্গলবার রাতে দুদকের কক্সবাজার সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক মো. রয়েল হোসেন বাদী হয়ে নিজ কার্যালয়ে মামলাটি দায়ের করেন।

মাহমুদুর রহমান টেকনাফ উপজেলার সাবরাং ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য এবং একই ইউনিয়নের নোয়াপাড়া এলাকার বাসিন্দা মৃত শেখ আহমেদের ছেলে।
 
দুদকের কক্সবাজার সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. রিয়াজ উদ্দিন বিষয়টি সমকালকে নিশ্চিত করেছেন। 

এজাহারে বলা হয়েছে, অনুসন্ধানকালে প্রাপ্ত রেকর্ড, বিশারদদের মতামত ও সাক্ষীদের বক্তব্য পর্যালোচনা করে দেখা গেছে- মাহমুদুর রহমান দুদকে দাখিলকৃত সম্পদের পরিমাণ ২ কোটি ৭০ লাখ ৪৬ হাজার ১৯৪ টাকা। কিন্তু দুদক তাদের নিজস্ব অনুসন্ধানে স্থাবর-অস্থাবর মিলে মাহমুদুর রহমানের নামে ৬ কোটি ৫০ লাখ ১৬ হাজার ৮৯৫ টাকার সম্পদের সন্ধান পায়। এর বিপরীতে তার গ্রহণযোগ্য অর্থাৎ বৈধ আয় পাওয়া গেছে ১ কোটি ১৯ লাখ ৬০ হাজার ৯৪০ টাকা। এ ক্ষেত্রে মাহমুদুর রহমান ৫ কোটি ৩০ লাখ ৫৫ হাজার ৯৫৫ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনপূর্বক ভোগ দখলে রেখেছেন। ফলে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ২০০৪ এর ২৭(১) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করায় তার বিরুদ্ধে এ মামলাটি দায়ের করা হয়েছে।

এর আগে গত ৬ নভেম্বর জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে টেকনাফের মিঠাপানিরছড়া এলাকার শামসুল আলম (৪১) নামের এক ইয়াবা কারবারির বিরুদ্ধে মামলা করেছিল দুদক। তার বিরুদ্ধে ২৩ লাখ ৮৬ হাজার ৪৬২ টাকার সম্পদ অর্জনের তথ্য গোপন এবং জ্ঞাত আয় বহির্ভূত ৫১ লাখ ৬ হাজার ৩৫৬ টাকা সম্পদের সন্ধান পায় দুদকের অনুসন্ধানী দল।


সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।