নেইমার-এমবাপ্পের দ্বন্দ্ব নিয়ে কম কথা হয় নি। কিন্তু মাঠে নামতেই উড়ে গেলো সব গুঞ্জন। মাঠের বাইরে যতই দ্বন্দ্ব থাকুক, মাঠে নামলে তারা হয়ে যান টিমমেট। তখন আর রেষারেষি করার সুযোগ নেই। রোববার রাতে লিগ ওয়ানের ম্যাচে একসঙ্গে জ্বলে উঠলেন পিএসজির তিন তারকা। এমবাপ্পের হ্যাটট্রিক, নেইমারের জোড়া ও মেসির এক গোলে লিলের বিপক্ষে ৭-১ গোলের বড় ব্যবধানে জিতলো পিএসজি। জোড়া গোলের সঙ্গে এসিস্টে এমবাপ্পেকে হ্যাটট্রিক করালেন নেইমার।
ম্যাচ শুরু হতে না হতেই মেসির বাড়িয়ে দেয়া পাস থেকে ৮ সেকেন্ডের মাথায় লিলের জালে বল জড়িয়ে পিএসজিকে লিড এনে দেন ফরাসি স্ট্রাইকার কিলিয়ান এমবাপ্পে। এই গোলের মাধ্যমে লিগ ওয়ানে দ্রুততম গোল করার রেকর্ড গড়েন এমবাপ্পে।
দারুণ সব আক্রমণ করতে থাকা পিএসজির স্কোর দ্বিগুণ করেন লিওনেল মেসি। ২৭তম মিনিটে নুনো মেন্দিসের সঙ্গে বল দেওয়া নেওয়া করে বক্স থেকে দারুণ এক শটে জাল খুঁজে নেন আর্জেন্টাইন এই ফরোয়ার্ড।
উড়তে থাকা পিএসজি তৃতীয় গোলের দেখা পায় ৩৯তম মিনিটে। নেইমারের সঙ্গে বল দেওয়া নেওয়ার এক পর্যায়ে নিয়ন্ত্রণে এনে প্রতিপক্ষের গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন আশ্রাফ হাকিমি। চার মিনিট পর গোলের দেখা পান আগের গোলে সহায়তা করা নেইমার। মেসির পা থেকে ছুটে আসা বল নিয়ন্ত্রনে নিয়ে সহজ শটে লক্ষ্যভেদ করতে ভুলেননি ব্রাজিলিয়ান এই ফরোয়ার্ড। ৪-০ গোলের বড় ব্যবধানে থেকে প্রথমার্থ শেষ করে পিএসজি।
বিরতির পর আগের মতোই আক্রমণ করতে থাকে পিএসজি, ফলস্বরূপ ৫২তম মিনিটেই হাকিমির পাস থেকে গোল করে পিএসজিকে ৫-০ গোলের লিড এনে দেন নেইমার। ২ মিনিট পর অবশ্য একটা কাউন্টার অ্যাটাক থেকে পিএসজির জালে বল জড়িয়ে একটি গোল শোধ করেন লিলের মিডফিল্ডার জোনাথান বোম্বা।
৬৬ মিনিটে নিজের দ্বিতীয় গোলের দেখা পান এমবাপ্পে, মাঝমাথ থেকে বল নিয়ে নেইমারের বাড়ানো পাস থেকে গোল করে ব্যবধান ৬-১ করেন এমবাপ্পে। ৮৭ মিনিটে গোলের হ্যাটট্রিক পূরন করেন এমবাপ্পে, নেইমার করেন এসিস্টের হ্যাটট্রিক। নেইমারের পাস থেকে লিলের কফিনে শেষ পেরেক ঠুকেন এমবাপ্পে।
৩ ম্যাচে ৯ পয়েন্ট নিয়ে লিগ ওয়ানের পয়েন্ট তালিকায় শীর্ষে রয়েছে পিএসজি।