image
ছবি: ঢাকা টাইম

বিভিন্ন গণমাধ্যমে বিশেষ করে টেলিভিশন টকশোতে জাতীয় পার্টির নীতিনির্ধারণী বক্তব্য নিয়ে দলটির শীর্ষ নেতাদের চিঠি দিয়েছেন দলটির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু। চিঠিতে পার্টির নীতিনির্ধারণী বিষয়ে গণমাধ্যমে কথা বলার বিষয়ে নেতাদের সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে।

চিঠির বিষয়টি স্বীকার করে জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘গণমাধ্যমে কথা না বলার জন্য চিঠি দেওয়া হয়নি। তবে, নীতিনির্ধারণী বিষয়ে কেউ গণমাধ্যমে বা টকশোতে কথা বলতে পারবে না। দলের বিষয়ে কথা বলার অথরিটি পার্টির চেয়ারম্যান অথবা মহাসচিব হিসেবে আমার। চিঠি দেওয়া হয়েছে এই কারণে, যে কেউ টিভির সামনে বসে দল নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করতে পারবেন না। মিডিয়াতে অনেকে অনেক ধরনের কথা বলেন। এতে আমরা বিব্রত হই। তাই এ ধরনের নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।

জাপা সূত্র জানায়, গত সপ্তাহে একটি বেসরকারি টেলিভিশন টকশোতে জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ব্যারিস্টার শামিম হায়দার পাটোয়ারী এমপি এবং জাপা থেকে বহিষ্কৃত মসিউর রহমান রাঙ্গা জাতীয় পার্টি এবং চেয়ারম্যানকে নিয়ে কিছু বিরূপ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। এতে ক্ষুব্ধ হন দলটির নেতাকর্মীরা। যদিও শামীম পাটোয়ারী পার্টিতে জিএম কাদেরের ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচিত।

এর আগেও একই ধরনের চিঠি দেওয়া হয়েছিল দলটির শীর্ষনেতাদের। জাতীয় নির্বাচন, সরকারের সঙ্গে থাকা না থাকা এবং রওশন এরশাদসহ নানা বিষয়ে দলটির নেতারা একেকজন একেক ধরনের কথা বললে সে চিঠি দেওয়া হয়েছিল।

এদিকে এ চিঠি নিয়ে ঢাকা টাইমসকে মিশ্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন দলটির একাধিক নেতা।

নিয়মিত টকশোতে অংশ নেন এমন একজন নেতা জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘আমরা যারা নিয়মিত অংশ নিয়ে থাকি তারাতো আর পার্টির বিরুদ্ধে কথা বলি না। দল তো কারো ব্যক্তিগত সম্পত্তি নয়। একজনের অপরাধে সবাইতো শাস্তি পেতে পারে না। বিষয়টি দুঃখজনক ও অপমানজনকও বটে।’

এ বিষয়ে জাপার প্রেসিডিয়াম সদস্য সাহিদুর রহমান টেপা ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘পার্টির অতিউৎসাহীরা গণমাধ্যমে মাঝেমধ্যে আমাদের চেয়ারম্যান ও জাতীয় পার্টি নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেন। এতে দলের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়। তাই এধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে, টকশো করতে মানা নেই।’

তিনি বলেন, ‘আমরা যারা নিয়মিত টকশোতে যাই তাদেরও কথা বলার সময় দলকে প্রাধান্য দিয়ে কথা বলা উচিত। আমাদের চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের দলের অভিভাবক। তার যেকোনো সিদ্ধান্তের সঙ্গে আমি শতভাগ সহমত প্রকাশ করছি।’

দলের অপর এক প্রেসিডিয়াম সদস্য রেজাউল ইসলাম ভুঁইয়া ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘গণমাধ্যমে কথা বলার নাম করে পার্টির চেয়ারম্যান বা দলের বিরুদ্ধে কথা বলার অধিকার কারো নেই। ক্যামেরার সামনে বসে নিজেকে রাজা ভাবলে হবে না। অন্যকোনো দল করে কেউ যদি ক্যামেরার সামনে সেই দলের সমালোচনা করত তাহলে সেই ব্যক্তি আর সে দল করতে পারত না।’

নিয়মিত টকশোতে অংশ নেওয়া জাপার আরেক প্রেসিডিয়াম সদস্য ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘জাতীয় পার্টির রাজনীতি এমনিতেই বনানী কার্যালয় কেন্দ্রিক হয়ে গেছে। নেই কোনো কর্মসূচি। বিবৃতিতেই রয়েছে সীমাবদ্ধ। আমরা টকশোতে গিয়ে কথা বললে মানুষ বুঝে জাতীয় পার্টি এখনও আছে। এই টকশোতে কথা বলাতেও যদি সেন্সরশিপ করে দেওয়া হয়, তাহলে তো আর বলার কিছুই নেই।’

(ঢাকাটাইমস/০১সেপ্টেম্বর/জেবি/এফএ)


সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।