David Willey
ছবি: চ্যানেল অনলাইন

বিশ্বকাপের চলতি আসরে গ্রুপপর্ব থেকে আগেই বিদায় নিয়েছে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড। নিজেদের শেষ ম্যাচে অবশ্য পাকিস্তানকে হারিয়েছে তারা। বাবর আজমের দলকে ৯৩ রানে হারিয়েছে তারা। এতে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিও নিশ্চিত করেছে জশ বাটলারের দল। প্লেয়ার অব দ্যা ম্যাচ হয়েছেন ক্যারিয়ারের শেষ ওয়ানডে খেলা ডেভিড উইলি।

শনিবার কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে আসরে নিজেদের শেষ ম্যাচে টসে জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন ইংলিশ অধিনায়ক জশ বাটলার। নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ৩৩৭ রান তোলে থ্রি লায়নস। জবাবে নেমে ডেভিড উইলি-আদিল রশিদদের বোলিং তোপে ৪৩.৩ ওভার খেলে ২৪৪ রানে গুটিয়ে যায় পাকিস্তান।

রিজওয়ান-সালমানদের হারিয়ে ৯ ম্যাচে ৩ জয়ে ৬ পয়েন্টে টেবিলের ৭ থেকে আসর শেষ করল চ্যাম্পিয়নরা। সেই সঙ্গে নিশ্চিত করেছে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিও। অন্যদিকে, আলো ছড়ালেও গ্রুপপর্ব পেরিয়ে সেরা চারে যাওয়া হলো না সাবেক বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন পাকিস্তানের। সমান ৯ ম্যাচ খেলে চার জয়ে ৮ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের পাঁচে থেকে আসর শেষ হলো দলটির। পাকিস্তান ২০২৫ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আয়োজক হওয়ায় এ সংক্রান্ত হিসাব-নিকাশের বাইরে ছিল তারা।

৩৩৮ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ওভারে ডেভিড উইলির বলে কোনো রান যোগ করার আগেই ওপেনার আবদুল্লাহ শফিকের উইকেট হারায় পাকিস্তান। তৃতীয় ওভারে আরেক ওপেনার ফখর জামানও উইলির বলে সাজঘরে ফিরে যান। ৯ বল খেলে তিনি করেন এক রান।

তৃতীয় উইকেট জুটিতে ৫১ রান যোগ করেন অধিনায়ক বাবর ও উইকেটকিপার ব্যাটার মোহাম্মদ রিজওয়ান। এ জুটিতে বাবর ৩৮ করার পর তাকে সাজঘরের পথ দেখান গাস অ্যাটকিনসন। বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি রিজওয়ান, মঈন আলীর বলে বোল্ড হওয়ার আগে ৫১ বল খেলে করেছেন ৩৬ রান। এরপর আঘা সালমানের ৫১, সউদ শাকিলের ২৯ রানে বিদায়ের পর মোটামুটি নিশ্চিত হয় পাকিস্তানের পরাজয়।

তবে শেষ উইকেটে শক্ত প্রতিরোধ গড়েন পেসার হারিস রউফ ও মোহাম্মদ ওয়াসিম জুনিয়র। এ দুই ব্যাটারের ৫৩ রানের জুটির প্রতিরোধে সম্মানজনক স্কোর পায় পাকিস্তান, হারে ৯৩ রানে।

ইংল্যান্ডের বাঁহাতি পেসার ডেভিড উইলি ১০ ওভারে ৫৬ রানে নিয়েছেন ৩টি উইকেট। এছাড়া আদিল রশিদ, গাস অ্যাটকিনসন এবং মঈন আলী নিয়েছেন ২টি করে উইকেট।

এর আগে, ব্যাটে নেমে শুরুটা বেশ ভালো করেন দুই ওপেনার ডেভিড মালান ও জনি বেয়ারস্টো। ভালো ফর্ম টেনে এ ম্যাচেও ফিফটির দেখা পেয়েছেন বাঁহাতি মালান, ৬১ বল খেলে ৫৯ রানে পেসার হারিস রউফের শিকার হন। উদ্বোধনী জুটিতে আসে ৮২ রান। মালানের বিদায়ের পর বেশিক্ষণ ক্রিজে থাকতে পারেননি অপর ওপেনার জনি বেয়ারস্টো। ইফতেখারের বলে আউট হওয়ার আগে করেন ৩১ রান। এরপর দলের হাল ধরেন ডানহাতি জো রুট ও বেন স্টোকস। ১৩১ বল খেলা এ জুটিতে আসে ১৩২ রান।

৭৬ বল খেলে ৮৪ রানে শাহিন আফ্রিদির বলে কাটা পড়েন স্টোকস। তার এ ইনিংসে ১১ টি চার ও ২টি ছক্কার মার রয়েছে। স্টোকসের পর রুটও ফিরে যান ৬০ রান করে। শেষ দিকে ছোট ছোট দুটি ক্যামিও ইনিংস খেলেন ইংল্যান্ডের অধিনায়ক জশ বাটলার ও হ্যারি ব্রুকস। বাটলার ১৮ বলে ২৭ করে রানআউট হন, ব্রুকস ১৭ বলে ৩০ করে রউফের ফাঁদে কাটা পড়েন।

পাকিস্তানের পেসার হারিস রউফ ৩ উইকেট শিকার করেন। ২টি করে উইকেট নেন মোহাম্মদ ওয়াসিম ও শাহিন আফ্রিদি। স্পিনার ইফতেখার আহমেদ নেন একটি উইকেট।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।