ছবি: নয়া দিগন্ত


গোপালগঞ্জে ডাকাতি ও হত্যা মামলায় ১২ আসামিকে যাবজ্জীবন স্বশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেছে আদালত।

বুধবার দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মাকসুদুর রহমান এ রায় প্রদান করেন।

আসামিদের মধ্যে কবির শেখ (২৮), তারা মিয়া শেখ ওরফে তাহের (২৮) ও মোলাম শেখ (৪০) রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন। বাকি আসামি মিন্টু শেখ (২৫), লিটন ওরফে আলম (৩২), টুটুল মীর (২৩), মাফুজাল বিশ্বাস ওরফে মাসুদ (৩২), কাকলী বেগম (২২), শিমু ওরফে সীমা (২৫), মো: জাহাঙ্গীর তালুকদার ওরফে বাবু তালুকদার (৩৫), রফিকুল ফকির (৩২), মজি (৩৫) পলাতক রয়েছেন। সাজাপ্রাপ্তদের বাড়ি গোপালগঞ্জ, ফরিদপুর ও মাদারীপুর জেলার বিভিন্ন স্থানে।

মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০১০ সালের ৩ নভেম্বর গভীর রাতে একদল স্বশস্ত্র ডাকাত গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার চন্ডিবির্দি গ্রামের রেলওয়ের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলামের বসত ঘরের গ্রিল কেটে ভেতরে ঢোকে। পরে অস্ত্রের মুখে পরিবারের সদস্যদের আটক করে টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার লুটে নেয়। এতে বাধা দিতে গেলে ডাকাতরা সিরাজুল ইসলামকে ধারল অস্ত্র দিয়ে কোপ দেয়। ওই সময় তার মেয়ে শাওন তাকে বাঁচাতে গেলে তাকে কুপিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যায় ডাকাত দল। পর দিন সিরাজুল ইসলাম অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে মুকসুদপুর থানায় একটি ডাকাতি ও হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্ত শেষে ১৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে পুলিশ। তাদের মধ্যে বাবুল সরদার ও দীন ইসলাম নামের দুজনের মৃত্যু হওয়ায় দীর্ঘ শুনানি শেষে বাকি ১২ আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করেন আদালতের বিচারক।

রাষ্ট্রপক্ষের মামলা পরিচালনা করেন এপিপি অ্যাডভোকেট শহিদুজ্জামান পিটু এবং আসামি পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট আরিফুজ্জামান।


সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।