bnp bhorerkagoj
ছবি: ভরের কাগজ

আদিবা ইসলামের বয়স যখন দুই বছর, তখন থেকেই সে আর তার বাবাকে খুঁজে পাচ্ছে না। বাবার একটি ছবি দেখিয়ে আদিবা বলল, ‘এইটা আমার বাবা। বাবাকে ছাড়া আমার ভালো লাগে না। বাবাকে ফিরিয়ে দেন। গুম দিবস না, বাবা দিবস পালন করতে চাই।’

আদিবা ইসলামের বয়স এখন ১২ বছর। আদিবার বাবা পারভেজ হোসেন বংশাল থানা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ২০১৩ সালের ডিসেম্বরে রাজধানীর শাহবাগ থেকে কে বা কারা তুলে নিয়ে যায় পারভেজকে। গত ১০ বছরেও তার আর কোনো খোঁজ নেই। তিনি বেঁচে আছেন না মরে গেছেন, এ নিয়ে সরকার বা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কেউ কিছুই বলতে পারছে না।

বুধবার (৩০ আগস্ট) বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত মানববন্ধনে অংশ নিয়ে আদিবা তার বাবাকে ফিরে পাওয়ার আকুতি তুলে ধরে।

গুমের শিকার ব্যক্তিদের স্মরণে আন্তর্জাতিক দিবস উপলক্ষে এই মানববন্ধনের আয়োজন করে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপি। মুখে কালো পতাকা বেঁধে বিএনপি ও এর অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা মানববন্ধনে অংশ নেন।

এতে বিভিন্ন সময়ে গুমের শিকার হওয়া বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতাদের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

৩০ আগস্ট ‘গুমের শিকার ব্যক্তিদের স্মরণে আন্তর্জাতিক দিবস’। ২০১০ সালের ডিসেম্বরে ‘ইন্টারন্যাশনাল কনভেশন ফর প্রোটেকশন অব অল পার্সনস অ্যাগেইনস্ট এনফোর্স ডিসঅ্যাপিয়ারেন্স’ সম্মেলনে যে আন্তর্জাতিক সনদ কার্যকর হয়, তাতে ৩০ আগস্টকে গুমের শিকার ব্যক্তিদের স্মরণে আন্তর্জাতিক দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়।

২০১৩ সালের ডিসেম্বরে মাজহারুল ইসলামকে তুলে নেয়া হয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পরিচয়ে। মাজহারুলের ভাই লোটাস বলেন, ১০ বছর ধরে আমার পরিবার কান্না করছে। দিনের পর দিন প্রশাসনের কাছে গিয়েছি, কেউ কোনো সহায়তা করেনি।

মানববন্ধনে প্রধান অতিথি ছিলেন-বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান।

তিনি বলেন, কোমলমতি শিশুরা তাদের নিখোঁজ বাবাদের কথা বলে কাঁদছে। একজন বলেছেন, গুম দিবস না, বাবা দিবস পালন করতে চাই। কতটা মর্মযাতনায় একটি শিশু এ কথা বলতে পারে। সরকারকে এর জবাব দিতে হবে। সভাপতির বক্তব্যে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমান বলেন, এই সরকার আমাদের ২ হাজার ৭০০ ভাইকে গুম করেছে। এই সরকার গুমের সরকার। রাজপথেই এই সরকারকে সরানোর ফয়সালা করতে হবে।

ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্যসচিব আমিনুল ইসলামের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকতউল্লাহ, ঢাকা দক্ষিণের আহ্বায়ক আবদুস সালাম, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী, স্বেচ্ছাসেবক সম্পাদক মীর সরাফত আলী, মানবাধিকার সম্পাদক আসাদুজ্জামান, ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম, যুবদল সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন, স্বেচ্ছাসেবক দল সভাপতি এস এম জিলানী।

এআই


সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।