Untitled
ছবি: প্রথম আলো

 ‘রক্তাক্ত একুশে’ লিনোকাট ছাড়া আরও দুটি ড্রয়িংও উল্লেখ করার মতো। দুটিই ১৯৭১ সালের ফেব্রুয়ারিতে আঁকা। এক কিষান-কিষানি দানবসুলভ এক জন্তুকে প্রতিহত করছে। চেক লুঙ্গি পরিহিত মানুষটির ডান হাতে উঁচিয়ে ধরা বল্লম, বাঁ হাতে তাকে প্রতিরোধ করে রয়েছে। কিষানির ডান হাতে কাস্তে এবং বাঁ হাতে উঁচু করে ধরা বাংলা বর্ণমালার প্ল্যাকার্ড। বাংলা কৃষিপ্রধান দেশ। তাই কিষান-কিষানিকে আমি বাংলার গণমানুষের প্রতিনিধিরূপে দেখানোর চেষ্টা করেছি। দ্বিতীয় ড্রয়িংটি বাঙালি জাতিসত্তার প্রতীক শহীদ মিনারের পাদদেশে এই বীভৎস জন্তু ভূলুণ্ঠিত। জন্তু হিসেবে আমি চিত্রায়িত করেছি ডাইনোসরকে। কিন্তু যে ডাইনোসরকে আমি চিত্রিত করেছি, তা মাংসাশী নয়, তৃণভোজী। তবু এর বিশাল ভয়ংকর রূপকে পাকিস্তানি আগ্রাসনের রূপক হিসেবে ব্যবহার করেছি। এর আগে বাঙালি জাতির ওপর একাত্তরে যে নারকীয় হত্যাযজ্ঞের ঘটনা ঘটবে, তা হয়তো একজন শিল্পী হিসেবে দূরদর্শন করেছিলাম ‘জননী ভূলুণ্ঠিত’ নামে ১৯৬৯ সালে আঁকা এক স্কেচে। একাত্তরের প্রথম ড্রয়িংটি ছাপা হয়েছিল জহির রায়হান সম্পাদিত ইংরেজি সাপ্তাহিক দ্য এক্সপ্রেস পত্রিকায় এবং অন্যটি ছাপা হয়েছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সংস্কৃতি সংসদের চটি পুস্তিকা সোনার হরিণ চাইতে। শেষের ড্রয়িংটি ছাপা হয়েছিল পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সংসদের নিবেদিত একুশে স্মরণে পুস্তিকায়।

আরও কিছু বিক্ষিপ্ত ড্রয়িং করেছি, কিন্তু তার হদিস জানা নেই।

আজ একুশে চেতনা কোথায়? যদিও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছি, এটুকুই সান্ত্বনা পাওয়ার মতো অর্জন। কিন্তু সেই চেতনা যে অপস্রিয়মাণ, তা একটি ড্রয়িংয়ে প্রকাশ করেছিলাম। শহীদ চত্বর থেকে শহীদ মিনার পাখি হয়ে দূর আকাশে হারিয়ে যাচ্ছে। বেদির মাঝখানে লাল সূর্য থেকে বাংলার চেতনা ঝরে পড়ছে। জননী বাংলাদেশ ফুলের অর্ঘ্য নিয়ে একপাশে বিহ্বল হয়ে দাঁড়িয়ে। ড্রয়িংটি ছাপা হয়েছিল প্রথম আলোর একুশের ক্রোড়পত্রের প্রারম্ভের অলংকরণ ২০০৭-এ।

২১ ফেব্রুয়ারি ২০১০ (সংক্ষেপিত)

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।