FB IMG
ছবি: চ্যানেল অনলাইন

বর্তমান জীবন, ক্যারিয়ার, সামনে কাজের পরিকল্পনা- এসব নিয়ে চ্যানেল আই অনলাইনের মুখোমুখি অভিনেত্রী চম্পা

KSRM

অভিনয়ের ভীষণ ক্ষুধা তার। তবে পর্দায় তার উপস্থিতি কম। পছন্দমতো চরিত্র পান না বলে তিনি স্ক্রিনে নিয়মিত নন! এমনটাই তার ভাষ্য। বলছি গুণী অভিনেত্রী চম্পার কথা!

নিজের বয়সটাকে যেন ফ্রেমে ধরে রেখেছেন এই অভিনেত্রী। তাই চম্পা এখনও আগের মতো সতেজ! তিনি মনে করেন, চেহারা হচ্ছে মনের প্রতিচ্ছবি। নিজের ভিতরে পজিটিভ চিন্তা করলে এবং চিন্তামুক্ত থাকলে মানুষ ভালো থাকে। বজায় থাকে শারীরিক সৌন্দর্য্য!

Bkash July
tabu champa
বলিউডের টাবুর সাথে চম্পা

শনিবার সন্ধ্যায় দীর্ঘক্ষণ ধরে অভিনেত্রী চম্পার সঙ্গে কথা হয়। চ্যানেল আই অনলাইনের সাথে আলাপে চম্পা বলছিলেন, তার প্রতিটি দিনই আনন্দে কাটে। তার কাছে এখনকার জীবনটা একটু বেশি ভালো লাগার। চম্পার ভাষায়, আমার এক মেয়ে ঈশা এবং দুই নাতী, ওরা আমার জান। নাতীদের কাছে আমি নানী না, ওদের বন্ধু। ওদের সঙ্গে খেলা করি, আত্মতৃপ্তি পাই। যখন ওদের সঙ্গে থাকি মনেই হয়না আমার বয়স হয়েছে। নিজেও শৈশবে ফিরে যাই। আগে এতো ব্যস্ত থাকতেন নিজেকে ও পরিবারকে দেয়ার সময় পেতাম না। কিন্তু এখন পুরোটা সময় নিজেকে ও পরিবারকে দিচ্ছি।

Reneta June

‘পদ্মা নদীর মাঝি’সহ বহু সিনেমা করে দর্শক নন্দিত হয়েছেন চম্পা। পেয়েছেন একাধিকবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। এই অভিনেত্রী বলেন, ভালো কাজ যেমন করেছি, তেমনি এলোমেলো কাজও করেছি। এখন আর এগুলো করতে চাই না। মানুষের মনে আবার নতুন করে চম্পার স্থান হবে তেমন কাজ ছাড়া করবো না। অনেক অনুরোধের কাজ করে পরে মনে হয়েছে নিজেকে ঠকিয়েছি। অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে আজ আমি চম্পা। তাই মন্দ কাজ করে পিছিয়ে যেতে চাই না। মানুষ যেমন নতুন চম্পাকে দেখতে চায়, আমি নিজেও নতুন চম্পাকে হাজির করার জন্য অধীর অপেক্ষায় আছি।

নিজে অভিনয় কমিয়ে দিলেও চম্পা তার চারপাশের শিল্পীদের বিভিন্ন কাজ দেখেন। তিনি জানান, সেইসব কাজ তাকে ভাবায়। তবে নিয়মিত সিনেমা হলে যাওয়া হয়না চম্পার। তিনি বলেন, হাতের মুঠোয় সবকিছু আসায় নতুনদের কাজগুলো দেখি। অবাক হই, এরা কত দারুণ সব কাজ করে। আমার তাদের সঙ্গে কাজের অনেক ইচ্ছে। কারণ নতুনরা যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে পারছে। আমি মনে করি, নতুনদের আধুনিক মেধা এবং পুরাতনদের অভিজ্ঞতা এই দুই মিলিয়ে যদি কাজ করা হয়, তাহলে বাংলা ইন্ডাস্ট্রি নিঃসন্দেহে বহুদূর যাবে।

FB IMG
আবার অরণ্য ছবির একটি দৃশ্যে চম্পা

কথায় কথায় ‘তিন কন্যা’ খ্যাত অভিনেত্রী জানালেন, নতুনদের কাজ দেখে নিজেকে খোঁজার চেষ্টা করেন। চম্পা ভাবেন, উমুক লুকে বা গেটাপের চরিত্রে যদি তিনি থাকতেন কেমন করতেন! চম্পা বলেন, লুক এবং গেটাপ শিল্পীদের চরিত্রকে উচ্চতায় নিয়ে যায়। যে লুক এবং গেটাপ নিজের মধ্যে লালন করে ধ্যান জ্ঞান হিসেবে নিতে পারবো সেই কাজটি করবো। ছবির অফার অনেক আসে। কিন্তু সেগুলো আমার পছন্দ হয়না। এজন্য ছেড়ে দেই।

উদাহরণ টেনে চম্পা নিজেই অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরীর প্রশংসা করে বলেন, চঞ্চল ভাই এতসব চমৎকার এবং আলাদা আলাদা চরিত্র করে নিজেকে মেলে ধরছেন দেখলে আমার অনেক ভালো লাগে। আমার ভীষণ লোভ হয় যে, আমিও যদি চঞ্চল ভাইয়ের মতো এমন ভিন্ন লুক নিয়ে চরিত্র করতে পারতাম! একজন শিল্পীর এক ধরনের কাজে আটকে থাকা উচিত নয়। প্রকৃত শিল্পী হবেন পানির মতো। পানি যেমন যে পাত্রে রাখা হয় সেটার আকার ধারণ করে। ঠিক তেমন ভাবে প্রকৃত শিল্পী যে চরিত্র পাবে সেটাই বিশ্বাসযোগ্য করে তুলবে। যেটা আমাদের চঞ্চল ভাই করে যাচ্ছেন।

 sis
ঢাকাই সিনেমার ত্রিরত্ন

অভিনেত্রী চম্পার অন্য দুইবোন ববিতা এবং সুচন্দা। তাদের তিনজনকে বাংলাদেশের সিনেমার ‘ত্রিরত্ন’ বলা হয়ে থাকে। চম্পা নিজেও অনুভব করেন তার আরও দুই বোনের সাফল্য! তবে মানুষের ভালোবাসায় তিনজন সিক্ত হলেও চম্পার কিছুটা আক্ষেপ রয়েছেন। তিনি বললেন, তারা (ববিতা-সুচন্দা) যে যার মতো করে দাপিয়ে কাজ করে অবস্থান তৈরি করেছে। আমি অভিনয়ে না এলেও একই ফ্যামিলির মেয়ে বলে গর্বিত হতাম। তবে আমার খারাপ লাগে, আমাদের যথাযথ মূল্যায়ন করা হয়নি। আমাদের দিয়ে যেমন কাজ করানো উচিত ছিল তা করানো হয়নি। আমাদের তিনবোনকে আরও বেশি কাজে লাগানো উচিত ছিল। শুধু অভিনয় নয়, যেখানে শিল্পের পদচারণা আছে সবখানে আমাদের তিনবোনের অনেক কিছু করার ছিল।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।