ছবি: নয়া দিগন্ত


ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের উপ-নির্বাচনের কয়েকটি ভোটকেন্দ্রে ভোট গ্রহণে অনিয়মের অভিযোগের তদন্ত দ্বিতীয় দিনের মতো করছে তদন্ত কমিটি। এ সময় তারা অনিয়মের অভিযোগ উঠা প্রত্যেকটি কেন্দ্রে কেন্দ্রে গিয়ে সরেজমিনে তদন্ত কার্যক্রম চালাচ্ছেন।

বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) সকাল থেকে উপজেলার বড়তল্লা, তালশহর পশ্চিম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, যাত্রাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও নূরানীয়া হাফিজিয়া মাদরাসা কেন্দ্রে যান অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো: রুহুল আমিন ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) মো: জয়নাল আবেদিন।

পরে তারা আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সম্মেলন কক্ষে এসে আবারো সংশ্লিষ্ট প্রিজাইডিং অফিসার, সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার ও পোলিং অফিসারদের সাথে কথা বলেন। কেন্দ্রে কর্তব্যরত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তা, পুলিশ এবং আনসার সদস্যদের বক্তব্যও শুনছে তদন্ত কমিটি।

এর আগে মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) নির্বাচন কমিশনের নির্বাচন পরিচালনা-২ অধিশাখার উপ-সচিব মো: আতিয়ার রহমান স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসককে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত ভোটে অনিয়মের খবরের বিষয়ে তদন্ত করে তিন দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়। এরই প্রেক্ষিতে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মো: শাহগীর আলম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো: রুহুল আমিনের নেতৃত্বে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন। অন্যদিকে পুলিশের পক্ষ থেকে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) মো: জয়নাল আবেদিনের নেতৃত্বে আরো একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে জেলা পুলিশ।

অত্যন্ত গোপণীয়তার সাথে দ্বিতীয় দিনের তদন্ত কার্যক্রম চালাচ্ছেন তদন্ত কর্মকর্তারা। এই বিষয়ে তদন্ত কমিটির কেউ সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেননি।

উল্লেখ্য গত ৫ নভেম্বর এ আসনের উপনির্বাচনের ভোট গ্রহণ শেষে প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধা বিভিন্ন কেন্দ্রে প্রকাশ্যে সিল মারা, জাল ভোট প্রদান, এজেন্ট বের করে দেয়া ও ভোটার লিস্টে ইচ্ছাকৃত গড়মিলসহ অনিয়মের অভিযোগ করেন। এছাড়া বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে এ ধরনের অনিয়মের সচিত্র প্রতিবেদনও প্রকাশিত হয়। এরই প্রেক্ষিতে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত ভোটে অনিয়মের খবরের বিষয়ে তদন্ত করে তিন দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দেয়ার নির্দেশ দেয় নির্বাচন কমিশন।

এদিকে উপনির্বাচনে বিজয়ী আওয়ামী লীগ প্রার্থী অধ্যক্ষ ড. শাহজাহান আলম সাজু তদন্ত কমিটিকে স্বাগত জানান। তিনি বলেন, স্মরণকালে এমনসুন্দর নির্বাচন হয়নি। এতে মানুষের স্বত:স্ফুর্ত অংশ গ্রহণ ছিল। পর্যাপ্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য এবং কর্মকর্তারা দায়িত্ব পালন করেছেন ভোটের দিন। বিভিন্ন সংস্থার লোকজন ছিল। আমার চারজন প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন ভোটের সময় তারাওতো কেউ এমন বলেননি বা অভিযোগ করেননি। যেকোনো কেন্দ্রে সমস্যা হয়েছে। তবুও আমি তদন্তকে স্বাগত জানাই।

তবে প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধা বলেন, বিভিন্ন কেন্দ্রে প্রকাশ্যে সিল মারা, জাল ভোট প্রদান, এজেন্ট বের করে দেয়া ও ভোটার লিস্টে ইচ্ছাকৃত গড়মিলসহ অনিয়ম হয়েছে। এখানে পেশীশক্তি, অর্থশক্তি সবই ব্যবহার হয়েছে। এমন স্থুল কারচুপি আমি জীবনেও দেখিনি। মূলত ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের মাধ্যমে আমাকে হারিয়ে দেয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, যাদের ছত্রছায়ায় অনিয়ম হয়েছে নির্বাচন কমিশন তাদের দিয়েই তদন্ত করে শাক দিয়ে মাছ ডাকার চেষ্টা করছে। এ তদন্ত আমি মানি না। তদন্ত করতে হলে বিচারবিভাগীয় কমিটি অথবা সাবেক বিচারপতি মাধ্যমে তদন্ত কমিটি গঠন করে এই তদন্ত করতে হবে। অন্যথায় আমি আইনের আশ্রয় নিতে প্রয়োজন হলে হাইকোর্টে গিয়ে রিট করব।


সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।